জাতীয় দলকে যেন ঘিরে ধরেছে খারাপ সংবাদ। শুরুটা হয়েছিল তামিম ইকবালকে দিয়ে, পিঠের চোটে এশিয়া কাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
এরপর জানা যায়, এবাদত হোসেনের লিগামেন্টে চোটের কথা। এই পেসারের অভাব বোধ করবে বাংলাদেশ, এমনটি জানিয়েই এশিয়া কাপে গিয়েছিলেন কোচ-অধিনায়ক।
তাকে বিশ্বকাপে পাওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে। বিসিবির অধীনে ছয় সপ্তাহ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলেও আশানুরুপ সুস্থ হতে পারেননি। এবার তাই এবাদতকে যেতে হচ্ছে ছুরি-কাচির নিচে। ইংল্যান্ডের ক্রুমওয়েল হাসপাতালে তার অস্ত্রোপাচার হবে বুধবার।
অস্ত্রোপচার থেকে বেশ লম্বা সময় দরকার। তাতে এবাদতের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এ নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘অপারেশন হয়ে গেলে তো কিছু করার নেই। জানেনই তো এতে সেরে উঠতে কিছুটা সময়ের দরকার। ’
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্রোপাচারের জন্য পোশাক পরা একটি ছবি দিয়ে এবাদত লিখেছেন, ‘আমার জীবনে প্রথমবারের মতো অপারেশন থিয়েটারে…। দয়া করে আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ ভরসা। ’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার সময় চোটে পড়েন এবাদত। এরপর দেশে চেষ্টা করেও সফল হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। গত কয়েক বছরে দেশের পেস বোলিং বিপ্লবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন এবাদত। তার চোট দলের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। সেটি আরও বাড়তে পারে বিশ্বকাপে এবাদতকে না পাওয়া গেলে।