ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

ব্যবসায়ী-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গুলশান

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে পুলিশ সদস্য ও চলাচলরত যানবাহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছেন আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা।  

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে গুলশান-১ নম্বর গোল চত্বর থেকে পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে সড়ক খুলে দিলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।

এতে বেশ কয়েকটি যানবাহনের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সড়কে চলাচলরত পথচারীদেরও দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।

দুপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকা গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরই ব্যবসায়ীরা সড়কে অবস্থান নেনসিলগালার প্রতিবাদে গুলশান শপিং সেন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান, বনানীসহ এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা চারদিক থেকে পুলিশ ও চলাচলরত যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কী বলছে পুলিশ

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ নম্বরে সিটি করপোরেশন একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সড়ক দখল করে রাখেন। আমরা তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবিদাওয়া জানানো এবং বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে কথা বলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ করে রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।

আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

যা জানা গেল ডিএনসিসি থেকে

শপিং সেন্টার সিলগালা করার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে মার্কেট তালাবদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কী জন্য করা হয়েছে, তা পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট একটি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে ঢাকা উত্তর উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি মার্কেট অনিরাপদ। যেকোনো সময় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তার মধ্যে গুলশানের এই মার্কেট  অন্যতম।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় আইন মেনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ থেকে গত রোজার আগে থেকে মার্কেটের দোকানদারদের চলে যেতে বলা হয়েছিল। তারা এক মাস সময়ও চেয়েছিলেন। কিন্তু মার্কেট থেকে তারা সরেননি। সম্প্রতি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমও মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, যেকোনো সময় এই মার্কেটে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে; ঘটতে পারে মানবিক বিপর্যয়। এ কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নিয়ম মেনে তালাবদ্ধ করেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

ব্যবসায়ী-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গুলশান

আপডেট সময় ০৪:৫১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে পুলিশ সদস্য ও চলাচলরত যানবাহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছেন আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা।  

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে গুলশান-১ নম্বর গোল চত্বর থেকে পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে সড়ক খুলে দিলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।

এতে বেশ কয়েকটি যানবাহনের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সড়কে চলাচলরত পথচারীদেরও দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।

দুপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকা গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরই ব্যবসায়ীরা সড়কে অবস্থান নেনসিলগালার প্রতিবাদে গুলশান শপিং সেন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান, বনানীসহ এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা চারদিক থেকে পুলিশ ও চলাচলরত যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কী বলছে পুলিশ

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ নম্বরে সিটি করপোরেশন একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সড়ক দখল করে রাখেন। আমরা তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবিদাওয়া জানানো এবং বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে কথা বলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ করে রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।

আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

যা জানা গেল ডিএনসিসি থেকে

শপিং সেন্টার সিলগালা করার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে মার্কেট তালাবদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কী জন্য করা হয়েছে, তা পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

ডিএনসিসির এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট একটি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে ঢাকা উত্তর উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি মার্কেট অনিরাপদ। যেকোনো সময় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তার মধ্যে গুলশানের এই মার্কেট  অন্যতম।

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় আইন মেনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ থেকে গত রোজার আগে থেকে মার্কেটের দোকানদারদের চলে যেতে বলা হয়েছিল। তারা এক মাস সময়ও চেয়েছিলেন। কিন্তু মার্কেট থেকে তারা সরেননি। সম্প্রতি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমও মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, যেকোনো সময় এই মার্কেটে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে; ঘটতে পারে মানবিক বিপর্যয়। এ কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নিয়ম মেনে তালাবদ্ধ করেছে।