মাদারীপুরের কালকিনিতে মোবাইল চুরির অপবাদে মোঃ বাহারুল-(১৩) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার সকালে উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী আলীনগর এলাকার ফাঁসিয়াতলা গ্রামের শাহাদাত বেপারীর ছেলে। এলাকা, ভূক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিনগর ফাঁসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় নির্যাতনের শিক্ষার্থী বাহারুল।
এসময় একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র শুভর পটেক থেকে একটি মোবাইল নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন বাহারুল। একপর্যায়ে তাকে চোর সন্দেহে হাতুরী ও লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে ফেলে রাখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, বাহারুলের হাত ও পাসহ শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে।
অভিযুক্ত শুভর কাছে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ছেলে একটা চোর। আজকে আমার প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইল চুরি করেছে। তাই তাকে এলাকাবাসী পিটিয়েছে।
আলীনগর এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ পারভেজ বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের লোকজন পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ নির্যাতন চালিয়েছে। আমি এর বিচার দাবী করি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন জানান, আমাকে ফাসানোর জন্য ষড়যন্তরের আশ্রয় নিয়ে সাহিদ পারভেজ আমার দোষ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেছেন।
আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল