ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আজ থেকে সুন্দরবনে ১০০ দিন মাছ ধরা বন্ধ

মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আগামীকাল শনিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং সুন্দরবনে চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

এ সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরতে পারবেন না জেলে বা মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য নৌযান দ্বারা অথবা অন্য যে কোনোভাবে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে বাগেরহাট জেলায় প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে আগামী ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে। ফলে ৩ মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমণ ও ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, ২০ মে থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনেও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে কোনো ধরনের মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। একই সঙ্গে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে । এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনো ধরনের পাস-পার্মিট দেওয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করলে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর ৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী এই নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেদ্ধাজ্ঞা সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশি সমুদ্র সীমায় অভিযান চালানো হবে। যারা এই নিষেদ্ধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময়ে প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

আজ থেকে সুন্দরবনে ১০০ দিন মাছ ধরা বন্ধ

আপডেট সময় ০১:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আগামীকাল শনিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং সুন্দরবনে চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

এ সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরতে পারবেন না জেলে বা মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য নৌযান দ্বারা অথবা অন্য যে কোনোভাবে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে বাগেরহাট জেলায় প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে আগামী ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে। ফলে ৩ মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমণ ও ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, ২০ মে থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনেও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে কোনো ধরনের মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। একই সঙ্গে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে । এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনো ধরনের পাস-পার্মিট দেওয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করলে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর ৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী এই নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেদ্ধাজ্ঞা সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশি সমুদ্র সীমায় অভিযান চালানো হবে। যারা এই নিষেদ্ধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময়ে প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল