ভোলার বোরহানউদ্দিন মেঘনা নদীতে ডাকাতি করতে গিয়ে ৬ ডাকাত ও নৌকা সহ আটক করলেন জেলেরা! বোরহানউদ্দিন উপজেলা মেঘনা নদী থেকে ছয় ডাকাত ও নৌকা সহ আটক করে হাকিমুউদ্দিন নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে স্থানীয় জেলেরা।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে মেঘনা নদীতে ট্রলারে ডাকাতকালে এসব ডাকাতদের আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান -রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন জেলে মাঝি মাল্লা নিয়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। নদীতে জাল পাতার কিছুক্ষণ পরেই বাঘের খালের ঘাট থেকে একটি বোটে ৬ জন ডাকাত সহ আমাদের মাছ ধরার বোটে আক্রমণ করে।
পরে আমরা হাকিমুউদ্দিন এর ঘাটের দিকে ছুটতে থাকি তারাও আমাদের লক্ষ করে আসতে থাকে অনেকক্ষণ পরে ওই সময়ে পেছন থেকে আরেকটি বোটের সহযোগিতায় ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে নৌকা সহ আটক করা হয়। আটককালে ডাকাতদের থেকে দুটি দা, দুটি লেহার পাত এবং ১টি চাপাতি ও কড়াত উদ্ধার করা হয়। আর ও কিছু দেশীয় অস্ত্র ছিলো পানিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জেলেরা নৌ-পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে তাৎক্ষণিক তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত ডাকাতদের তাদের হেফাজতে নেয়।
ডাকাত সদস্যরা হলেন, ১। নিরব(৩২) পিতা শাহাজল ব্যপারী,হাসান নগর, ২। মাকসুদ(২৮) পিতা শাহাজল ব্যাপারী, হাসান নগর, ৩।শাহাদাত(৩৫) পিতা- মোস্তাফিজ, হাসান নগর ৬ নং ওয়ার্ড, ৪। আনোয়ার হোসেন (৩০) পিতা – আবুল কালাম হাসান নগর ৫ নং ওয়ার্ড, ৫।আলামীন (৩৬) পিতা- ইসমাইল হাসান নগর ৭ নং ওয়ার্ড, ৬। নকিব( ২৫) পিতা- মৃত আজহার হাসান নগর, আজ সকাল ৬ টার দিকে একটি মহল রফাদফা করে ছয় ডাকাত দলকে মারামারি অভিযোগ তুলে হাকিমুউদ্দিন নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মিমাংসা করে দিবে বলে ছাড়িয়ে নেন।
এতে স্হানীয় জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন – এরা প্রতিনিয়ত আমাদের নৌকা ও জাল জোর করে নিয়ে যায় পরে আমাদের কাছ থেকে নৌকা ও জাল বাবদ নগদ অর্থ দাবী করে থাকে, অনেক সময় আমাদের লোকজনও নিয়ে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করে এরা জলদস্যু, এদের জন্য আমরা নদীতে ঠিকমত মাছ ধরতে পারিনা। আজ তাদেরকে হাতেনাতে দেশীয় অস্ত্র ও নৌকা সহ ধরে নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে সোর্পদ করি। বড় বড় মিয়ারা পুরো বিষয়টিকে মারামারি বলে তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে একটি মহল হাকিমুউদ্দিন নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মিমাংসার কথা বলে ছাড়িয়ে নেন।
হাকিমুউদ্দিন নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন – প্রথমে লোক মারফত জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্হলে গিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। উদ্ধারকৃতদের কাছ থেকে জাল কাটার দা ও কাচি এগুলো পাই। তাদের মধ্যে জাল পাতানো নিয়ে মারামারি হয়। উভয় পক্ষের দালালেরা আসলে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের অপরাধ করবেনা বলে লিখিত রেখে ছেড়ে দেই।