নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর স্লুইচ গেট এলাকার হাঁড়িভাঙ্গা বিলে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সরিষা নষ্ট করে পুকুর খনন করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এমনকি সেই মাটি পরিবহনে সরকারি সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। এদের মধ্যে একজনের বুকের হাড়ও ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে ওই বিলে যায় স্থানীয় প্রশাসন। এসময় গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিনের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল। এসময় পুকুর খনন কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর জব্দ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করতে গেছে পৌর সদরের চাঁচকৈড় মোল্লাপাড়া মহল্লার নাছির মোল্লার ছেলে নান্নু মোল্লা (৪৫) ও তার ছোট ভাই নহর মোল্লা (২০), জুয়েল মোল্লা (২৮), মো. সুমনসহ (৩০) অন্তত ১০ জনের একটি দল লাঠি-শোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
দৈনিক ইত্তেফাক-এর এই প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘এসময় দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি নাজমুল হাসান নাহিদকে (২৮) মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি রাস্তার ওপর পড়ে যান। আরও লাঞ্ছিত করা হয় মোহনা টেলিভিশনের মিজানুর রহমান, এশিয়ান টেলিভিশনের মেহেদী হাসান তানিম, আমার সংবাদের আব্দুস সালাম, সংবাদের সাকিল, আজকের দর্পণের জুয়েল হাসান টিপু ও বাংলাদেশের খবরের আবু হেনা মোস্তফা কামালকে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অক্সিন জানান, ভর্তির পর সাংবাদিক নাজমুলের শরীরে কিল-ঘুষির দাগ দেখা গেছে। তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করায় তাকে এক্স রে করতে বলা হয়েছে। এক্সরে রিপোর্টে তার বুকের ডান দিকের একটি হাড় ফাটা দেখা গেছে। স্থানীয় চলনবিল প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আক্কাছ এবং গুরুদাসপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি দিল মোহাম্মদ ওই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন জানান, সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছু দুর্বৃত্তের হাতাহাতির বিষয় তিনি শুনেছেন। তবে কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।