রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর অন্যান্য উপজেলার মত বরেন্দ্র খ্যাত তানোর এলাকা থেকে প্রথমবারের মত বিদেশে আম রপ্তানির নিমিত্তে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় রপ্তানিযোগ্য নতুন আম বাগান সৃজন, উত্তম কৃষি পরিচর্যা অনুসরণ করে আম বাগান ব্যবস্থাপনা, সুষম সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ( প্রুনিং, ব্যাগিং ইত্যাদি) ব্যবহার করে মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নসহ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এই সব প্রদর্শনীতে অধিক ঘন পদ্ধতি অনুসরণ করে আম গাছ রোপণ, মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সার প্রয়োগ, বালাইনাশকের যৌক্তিক ব্যবহার, ফ্রুট ব্যাগিং ফেরোমন ফাঁদ, আঠালো ফাঁদসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষকদের রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের নিরাপদ আম উৎপাদন বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আগ্রহী নিরাপদ আম উৎপাদনকারী কৃষক গ্রুপের সাথে বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল এন্ড এলাইড ক্রপস এসোসিয়েশন এর মধ্যে চুক্তিভিত্তিক কন্টাক্ট ফার্মিং এর উদ্যোগ হাতে নিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের হিসেবে পরিচির তানোর উপজেলা থেকে এ বছর ১০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তম কৃষি পরিচর্যা বা GAP অনুসরণ করে আম রপ্তানির লক্ষ্যে কন্টাক্ট ফার্মিং এর আওতায় চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের আম বাগান নিয়মিত পরিদর্শন করা হবে এবং বাগানের সকল কার্যক্রম রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে।
এছাড়াও বিদেশে যেসব জাতের চাহিদা রয়েছে, সেই সমস্ত জাত দিয়ে নতুন বাগান সৃজনের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগিতা করছে। অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম বাগান সৃজনসহ নিরাপদ আম উৎপাদন এবং সংগ্রহ-উত্তর ব্যবস্থাপনার উপরেও কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রতিটি বাগান উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। আশা করি রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথমবারের মত তানোর উপজেলা থেকে এ বছর বিদেশে আম রপ্তানি শুরু হবে।