ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপ্লব চেয়ারম্যানের পিয়াজ উৎপাদনে সফলতা

ভোলা বাপ্তা ইউনিয়নের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক সফলতায়, সফলতার পুরুস্কার পাবার পর, এবার আবার পেঁপে চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে রানিং চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়া সত্বেও ক্ষমতা অপপ্রয়োগ টেন্ডারবাজি না করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে ও নিজের জন্য পরিশ্রমের মাধ্যমে সততার সাথে কাজ করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমির উপর ২০০৫ সালে বিপ্লব মোল্লা গড়ে তুলেন তার সবুজ বাংলা কৃষি খামারটি, এই বছরই এই খামারে প্রায় দুই একর জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। এখানে এই বছরই প্রথম গ্রিন লেডি ও টপ লেডি জাতের পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা জানিয়েছেন এই পেঁপে গাছগুলো সাধারণত উঁচু জমিতেই লাগাতে হয়, নিচু জমিতে যেখানে পানি জমে থাকে সেখানে এই গাছগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হয়। তিনি আশা করে বলেন যে আমরা একটি গাছ থেকে কমপক্ষে ১০০ কেজি করে পেঁপে উৎপাদন করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। তবে একটু পরিচর্যা করলেই এর সফলতা ভালো পাওয়া যায়।

আমরা এই পেঁপে গাছে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছি ৷ নিয়মিত ছত্রাক ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় ৷ ফল পাকানোর জন্য ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়না ৷ ভালো এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের পেপে চাষ করলে অবশ্যই কৃষক লাভবান হবে। চেয়ারম্যান বলেন আমার এই পেঁপে বাগান করতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমি আমার এই বাগানের পেঁপে কাঁচা বিক্রি করি না কারণ কাঁচা পেঁপে বিক্রি করলে এর দাম কম পাওয়া যায়। তাই আমি আমার এই বাগানের পেপে গাছে পাকিয়ে কালার হওয়ার পর কেটে ৭০ টাকা কেজি ধরে পাইকারি বিক্রি করছি এবং খামার হইতেই পাইকারি বিক্রেতারা এসে পাকা পেঁপে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এতে করে আমরা বেশি লাভবান হচ্ছি।

চেয়ারম্যান বলেন আমার খামার হতে ধারাবাহিকভাবে দুইদিন পর পর পাঁচ থেকে সাত মন পাকা পেঁপে বিক্রি করছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন ইনশাল্লাহ আমার এই খামার হতে আমি এই বছর বিশ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে সক্ষম হব। সাথে সাথে আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করে বলছি যে আগামী মাস বছর আমার এই পেঁপে চাষের পরিধি আমি আরো বৃদ্ধি করব ইনশাল্লাহ এতে আশা করি আমি এক বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হব। পেঁপে গাছের উৎপাদন খরচ একটি চারা আমরা ক্রয় করি ৩০ টাকায় এবং গাছ বেড়ে ওঠা এবং ফলন দেওয়া পর্যন্ত আনুষাণিক খরচসহ মোট খরচ ১০০ টাকা হয়। আর একটি গাছ থেকে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এই পেঁপে গাছ রোপন করলে তিন মাসেই কাঁচা পেঁপে বিক্রি করা যায়।

আর ছয় মাস হলেই পাকা পেঁপে বিক্রি করা যায়। আমরা গত ৩০ দিনে প্রায় এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকার মত পেঁপে বিক্রি করেছি। বিপ্লব মোল্লা যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, আপনারা আপনাদের বাড়ি ঘর এবং আঙ্গিনার আশপাশ সহ কৃষি জমিতে আবাদী ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল গাছ উৎপাদন করুন এতে করে যেমন আপনার পরিবার লাভবান হবেন, পাশাপাশি আমাদের দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। জনাব বিপ্লব মোল্লা বলেন, ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়াই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।

Tag :

One thought on “বিপ্লব চেয়ারম্যানের পিয়াজ উৎপাদনে সফলতা

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লব চেয়ারম্যানের পিয়াজ উৎপাদনে সফলতা

আপডেট সময় ০৮:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভোলা বাপ্তা ইউনিয়নের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক সফলতায়, সফলতার পুরুস্কার পাবার পর, এবার আবার পেঁপে চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে রানিং চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়া সত্বেও ক্ষমতা অপপ্রয়োগ টেন্ডারবাজি না করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে ও নিজের জন্য পরিশ্রমের মাধ্যমে সততার সাথে কাজ করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমির উপর ২০০৫ সালে বিপ্লব মোল্লা গড়ে তুলেন তার সবুজ বাংলা কৃষি খামারটি, এই বছরই এই খামারে প্রায় দুই একর জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন। এখানে এই বছরই প্রথম গ্রিন লেডি ও টপ লেডি জাতের পেঁপে গাছ লাগিয়েছেন। চেয়ারম্যান বিপ্লব মোল্লা জানিয়েছেন এই পেঁপে গাছগুলো সাধারণত উঁচু জমিতেই লাগাতে হয়, নিচু জমিতে যেখানে পানি জমে থাকে সেখানে এই গাছগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হয়। তিনি আশা করে বলেন যে আমরা একটি গাছ থেকে কমপক্ষে ১০০ কেজি করে পেঁপে উৎপাদন করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। তবে একটু পরিচর্যা করলেই এর সফলতা ভালো পাওয়া যায়।

আমরা এই পেঁপে গাছে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছি ৷ নিয়মিত ছত্রাক ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় ৷ ফল পাকানোর জন্য ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়না ৷ ভালো এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের পেপে চাষ করলে অবশ্যই কৃষক লাভবান হবে। চেয়ারম্যান বলেন আমার এই পেঁপে বাগান করতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমি আমার এই বাগানের পেঁপে কাঁচা বিক্রি করি না কারণ কাঁচা পেঁপে বিক্রি করলে এর দাম কম পাওয়া যায়। তাই আমি আমার এই বাগানের পেপে গাছে পাকিয়ে কালার হওয়ার পর কেটে ৭০ টাকা কেজি ধরে পাইকারি বিক্রি করছি এবং খামার হইতেই পাইকারি বিক্রেতারা এসে পাকা পেঁপে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এতে করে আমরা বেশি লাভবান হচ্ছি।

চেয়ারম্যান বলেন আমার খামার হতে ধারাবাহিকভাবে দুইদিন পর পর পাঁচ থেকে সাত মন পাকা পেঁপে বিক্রি করছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন ইনশাল্লাহ আমার এই খামার হতে আমি এই বছর বিশ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে সক্ষম হব। সাথে সাথে আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করে বলছি যে আগামী মাস বছর আমার এই পেঁপে চাষের পরিধি আমি আরো বৃদ্ধি করব ইনশাল্লাহ এতে আশা করি আমি এক বছরে ৫০ লক্ষ টাকা আয় করতে সক্ষম হব। পেঁপে গাছের উৎপাদন খরচ একটি চারা আমরা ক্রয় করি ৩০ টাকায় এবং গাছ বেড়ে ওঠা এবং ফলন দেওয়া পর্যন্ত আনুষাণিক খরচসহ মোট খরচ ১০০ টাকা হয়। আর একটি গাছ থেকে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এই পেঁপে গাছ রোপন করলে তিন মাসেই কাঁচা পেঁপে বিক্রি করা যায়।

আর ছয় মাস হলেই পাকা পেঁপে বিক্রি করা যায়। আমরা গত ৩০ দিনে প্রায় এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকার মত পেঁপে বিক্রি করেছি। বিপ্লব মোল্লা যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, আপনারা আপনাদের বাড়ি ঘর এবং আঙ্গিনার আশপাশ সহ কৃষি জমিতে আবাদী ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল গাছ উৎপাদন করুন এতে করে যেমন আপনার পরিবার লাভবান হবেন, পাশাপাশি আমাদের দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। জনাব বিপ্লব মোল্লা বলেন, ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়াই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।