ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু : শেখ সেলিম

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক ভিত্তি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ সেলিম বলেন, ১৯৪৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধু জেলে বন্দি ছিলেন। পরে সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বন্দি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, সততা, অসাম্প্রদায়িকতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছিল।

বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ছোটবেলায় তার বন্ধু মালেককে হিন্দু মহাসভার গোপালগঞ্জের নেতা মারধর করলে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেন। উল্টো বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরা হয়।

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে। পরে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বললেও বঙ্গবন্ধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে আতাউর রহমান খান, আব্দুস সালামের কাছে যান, কেউই রাজ হয়নি। পরে আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের কাছে গেলে তিনি রাজি হন। তাকে সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু সেক্রেটারি হয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু : শেখ সেলিম

আপডেট সময় ১২:৪৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক ভিত্তি নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ সেলিম বলেন, ১৯৪৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধু জেলে বন্দি ছিলেন। পরে সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বন্দি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, সততা, অসাম্প্রদায়িকতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছিল।

বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই প্রতিবাদী উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ছোটবেলায় তার বন্ধু মালেককে হিন্দু মহাসভার গোপালগঞ্জের নেতা মারধর করলে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেন। উল্টো বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরা হয়।

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে। পরে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বললেও বঙ্গবন্ধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে আতাউর রহমান খান, আব্দুস সালামের কাছে যান, কেউই রাজ হয়নি। পরে আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের কাছে গেলে তিনি রাজি হন। তাকে সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু সেক্রেটারি হয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়।