ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জের হাট বাজারের স্বাহা রোর্ডে ভোলা ফার্মেসী নাজমুল আহসান বাবুল নামক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে একই উনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে বৈদ্দোরপোল বাজার এলাকায় রহমালেগ বাড়ির নুরজমার মেয়ে নাজমা বেগম (৩৫)।
আজ বুধবার সকালে তার অবস্থা আশংকা জনক হলে ভুয়া ডাক্তারের বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী নাজমা বেগম। তিনি ডান পায়ে একটু কালোদাগসহ এলার্জি রোগে ভুগিতেছিলেন। গত ০৮-১২-২০২২ ইং তারিখ থেকে বড় ডাক্তার পরিচয়ে ৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ওই নারীকে ৪০ হাজার টাকা কন্টাকে চিকিৎসা করেন নাজমুল হাসান বাবুল। তার ভুল চিকিৎসায় নাজমা বেগমের ডান পাওটি আরো গুরুতর ফুলাসহ পচন ধরেছে। এতে প্রতিনিয়ত পায়ের যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাচ্ছে নাজমা বেগম।
ডাক্তার না হয়ে প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার লিখে রুগীদেরকে ভুল চিকিৎসা করে থাকেন ভুয়া ডাক্তার নাজমুল হাসান বাবুল। এতে বিপদে পরতে হয় অসহায় অনেক রুগিদেরকে। বিষয়টি যেন দেখার কেউই নেই। ভুয়া ডাক্তার নাজমুল আহসান বাবুলের বাড়ি একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত জলিলের ছেলে। ভুক্তভোগী নাজমা বেগম বলেন, চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন তিনি। গত ৫ -১২-২০২২ ইং তারিখ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন তিনি। তার ডান পায়ে একটু এলার্জির সমস্যাসহ একটু কালো দাগ দেখতে পেয়ে বিষয়টি দেখানোর জন্য কুঞ্জেরহাট বাজারে মের্সাস ভোলা ফার্মেসিতে যায়।
সেখানে বড় ডাক্তার পরিচয়ে ডাক্তার লেখা প্রেসক্রিপশন দিখিয়ে ৭ দিনের মধ্যে পায়ের কালো দাগ ও এলার্জি ভালো করবে বলে ৪০ হাজার টাকা কন্টাকে চিকিৎসা করেন নাজমুল হাসান বাবুল । চিকিৎসা চলার ২য় দিন কন্টাকের ৪০ হাজার টাকা নেয় ভুয়া ডাক্তার নাজমুল আহসান বাবুল। গত ৭ দিনে প্রায় ১ শত ইঞ্জেকশন করেন তিনি। পরে তার ভুল চিকিৎসায় পায়ে পচন ধরেছে ও ব্যাপক ফুলে গেছে। এখন পুরো শরীল ফুলাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। তার ভুল চিকিৎসায় তিনি মৃত্যু মুখে রয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি ভুয়া ডাক্তার নাজমুল হাসান বাবুলের বিচার চাচ্ছেন ভুক্তভোগী নাজমা বেগম। অন্যদিকে মেসার্স ভোলা ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হাসান বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চিকিৎসা করেছি। নাজমাকে দেখতে তার বাড়িতে যাব।