বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি হয়েছেন সাদ্দাম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার সঙ্গী হয়েছেন শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
সাদ্দাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এজিএস ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটিতে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে।
ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার রাতে গণভবনের ফটকে নতুন কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিও ঘোষণা করেন।
শয়ন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটিতে উপ-নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক ছিলেন; সবশেষ ডাকসু নির্বাচনে হয়েছিলেন সাহিত্য সম্পাদক।
আর সৈকত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটিতে উপ-সমাজসেবা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন, ডাকসুতে তিনি ছিলেন সদস্য হিসেবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর আহমেদ।
রিয়াজ এর আগে উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সাগর গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন রাজীবুল ইসলাম বাপ্পি তার সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সজল কুণ্ডু।
বাপ্পি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ধানমন্ডি থানার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সজল কুণ্ডু সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব সামলিয়েছেন।
২০১৮ সালে ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম রাব্বানী।
তার এক বছরের মাথায় অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের নেতৃত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর সভাপতির দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক হন লেখক ভট্টাচার্য।
দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর গত ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই ঘোষণা করা হবে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। তার দুই সপ্তাহের মাথায় নতুন কমিটির ঘোষণা এল।
ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগের দিন সংগঠনটির বিদায়ী সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেছিলেন, ‘সাংগঠনিক নেত্রী’ শেখ হাসিনাই ছাত্রলীগের পরবর্তী শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করে দেবেন।
এর আগে ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন হয়। আর ৩ ডিসেম্বর হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ‘বার্ষিক’ সম্মেলন।