ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দরুদে ইবরাহিম কি শুধু নামাজে পড়ার জন্য?

দরুদে ইবরাহিমের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে এই দরুদ পাঠ করা হয়। ফেকাহবিদ আলেমদের মতে, নামাজে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 

হজরত আবু মুহাম্মদ কাব ইবনে উজরাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একদা) আমাদের কাছে এলেন। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা বলো-

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউঅআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকাহামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউঅ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। -(বুখারী -৩৩৭০, মুসলিম-৪০৬, তিরমিজি, ৪৮৩, নাসায়ী,১২৮৭, আবু দাউদ ৯৭৬)

সমাজে কিছু সংখ্যক মানুষের ধারণা রয়েছে নামাজে যেই দরুদে ইবরাহিম পাঠ করা হয় তা নামাজের বাইরে অন্য কোথাও পাঠ করা যাবে না। এই দরুদ শুধু নামাজের সঙ্গেই সম্পর্কিত। কিন্তু আলেমরা এমন ধারণাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। আলেমদের মতে, দরুদে ইবরাহিম শুধু নামাজের জন্য নির্দিষ্ট এবং নামাজের জন্য সীমাবদ্ধ নয়।

আলেমরা বলেন, নামাজে কোরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ, তাকবীর ইত্যাদি অনেক বিষয় আদায় করা হয়। কিন্তু কেউ অন্য সব তাসবিহ ও আয়াতকে শুধু নামাজের জন্য নির্দিষ্ট মনে করে না। যেমন নামাজে কতবার ‘আল্লাহু-আকবার’ বলা হয়। আবার নামাজের বাইরেও ‘আল্লাহু-আকবার’ জিকির করা হয়। তাই আলেমদের মতে নামাজের বাইরে দরুদে ইবরাহিম পাঠ করতে কোনো অসুবিধা নেই। -( প্রচলিত ভুল, আলকাউসার, ৮/৮)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দরুদে ইবরাহিম কি শুধু নামাজে পড়ার জন্য?

আপডেট সময় ১২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

দরুদে ইবরাহিমের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে এই দরুদ পাঠ করা হয়। ফেকাহবিদ আলেমদের মতে, নামাজে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 

হজরত আবু মুহাম্মদ কাব ইবনে উজরাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একদা) আমাদের কাছে এলেন। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা বলো-

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউঅআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকাহামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউঅ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। -(বুখারী -৩৩৭০, মুসলিম-৪০৬, তিরমিজি, ৪৮৩, নাসায়ী,১২৮৭, আবু দাউদ ৯৭৬)

সমাজে কিছু সংখ্যক মানুষের ধারণা রয়েছে নামাজে যেই দরুদে ইবরাহিম পাঠ করা হয় তা নামাজের বাইরে অন্য কোথাও পাঠ করা যাবে না। এই দরুদ শুধু নামাজের সঙ্গেই সম্পর্কিত। কিন্তু আলেমরা এমন ধারণাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। আলেমদের মতে, দরুদে ইবরাহিম শুধু নামাজের জন্য নির্দিষ্ট এবং নামাজের জন্য সীমাবদ্ধ নয়।

আলেমরা বলেন, নামাজে কোরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ, তাকবীর ইত্যাদি অনেক বিষয় আদায় করা হয়। কিন্তু কেউ অন্য সব তাসবিহ ও আয়াতকে শুধু নামাজের জন্য নির্দিষ্ট মনে করে না। যেমন নামাজে কতবার ‘আল্লাহু-আকবার’ বলা হয়। আবার নামাজের বাইরেও ‘আল্লাহু-আকবার’ জিকির করা হয়। তাই আলেমদের মতে নামাজের বাইরে দরুদে ইবরাহিম পাঠ করতে কোনো অসুবিধা নেই। -( প্রচলিত ভুল, আলকাউসার, ৮/৮)