পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অর্থনীতি অর্থমন্ত্রী চালান না। অর্থনীতি পরিকল্পনামন্ত্রী বা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর চালান না। অর্থনীতি বাই রুল বাই অর্ডার চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই আইন। কারণ উনি (প্রধানমন্ত্রী) সরকারপ্রধান। তার থেকে এসব আইন মেনে আসে। আমি হয়তো আজ অসুস্থ বা অন্য কেউ অসুস্থ হলেন। আমি হয়তো অফিসে গেলাম না।
তাই বলে কাজ তো আর পড়ে থাকবে না। আমি বলতে চাই, আমরা জেনে শুনেই অর্থনীতি চালাচ্ছি। আমরা কিছু পণ্ডিতের সঙ্গে কাজ করে এগুলো শিখেছি। সকালে মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘সংকটে অর্থনীতি: কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে?’ শীর্ষক সিপিডি সংলাপে অভিযোগ করা হয় বর্তমান অর্থমন্ত্রীকে সংকটে দৃশ্যমানভাবে পাওয়া যায় না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি একটা গ্রামীণ এলাকা হাওরের প্রতিনিধিত্ব করি। আমি প্রতি সপ্তাহে হাওরে যাই, সেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলি। হাট-বাজারে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলি। বর্তমান সরকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। আগে যেভাবে চালের হিসাব করতে দেখেছি এখন তা নেই। যে গ্রামে আমি সাঁতরে স্কুলে গেছি এখন বাচ্চারা মোটরসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। আপনারা কালো মেঘ দেখছেন, আমরা সিলভার লাইটিং দেখছি। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ এটা নিরূপণ করা। মূল্যস্ফীতি কমছে, তবে নিম্ন হারে। এতে করে মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে।
বিবিএস সঠিক নয় এটা কেউ বললে তার সঙ্গে আমি বিবাদে যাবো। আমরা সংখ্যা নিয়ে অসত্য কথা বলি না। আমাদের ফিগার বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফও স্বীকার করেছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান হাবিব মনসুর, বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী আছেন বিশেষ আলোচক হিসেবে।