ঢাকা ০২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরহানউদ্দিনে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ ” থানায় মামলা

  • এম এন আলম, বরিশাল
  • আপডেট সময় ১০:২০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৬২৯ বার পড়া হয়েছে

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় লম্পট শিক্ষকসহ আরো দুই জনের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কালুগো কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষক লম্পট হাসনাইন খাবারের লোভ দেখিয়ে নির্জন কক্ষে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।

ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় নুরনবী ও ইব্রাহীমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা কে মারধর করে গুরুতর আহত করে। ধর্ষণের ঘটনায় ৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বোরহানউদ্দিন থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেছে নার্সারিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর মা। মামলা নং – ৯/৩৫৭। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) কাওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে চকলেট ও বড়ই আচার খেতে দিয়ে ওই মাদ্রাসার নির্জন কক্ষে নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট শিক্ষক হাসনাইন। পরে ওই শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায়।

বাড়িতে এসে প্রশাব করার সময় রক্তক্ষরণ হয়। তখন ব্যথা যন্ত্রণায় চিৎকার করেন ওই শিশু শিক্ষার্থী। যৌনাঙ্গে রক্তাক্ত ফাটা চিহ্ন দেখতে পেয়ে বাচ্চার মা ঘটনা জানতে চাইলে ধর্ষণের শিকার শিশু শিক্ষক লম্পট হাসনাইন এর বিষয় বর্ণনা করেন। ধর্ষণের ঘটনা জিজ্ঞাসা করতে শিক্ষার্থীর বাবাসহ তার মা ওই মাদ্রাসায় যায়। সেখানে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার ১ নং আসামী ধর্ষক লম্পট হাসনাইনের পক্ষ নিয়ে মামলার ২ নং আসামী নুরনবী ও ৩ নং আসামী ইব্রাহীম শিশুর বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এসময় ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হত্যার হুমকি দেয় তারা। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুফতি শামসুদ্দিন মাওলানার নেতৃত্বে কয়েক দফা বৈঠকে বসে। ধর্ষণের শিকার শিশু পরিবার সমাধানে রাজি না হওয়ায় ২ শত আলেম নিয়ে শিশুর পরিবারের ঘর বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান ওই শিশুর পরিবার। শিশু ধর্ষণ মামলার ১ নং আসামী অভিযুক্ত ধর্ষক হাসনাইন কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চকডোস গ্রামের নাদুগো বাড়ির মাওলানা হাবিবুল্লাহ এর ছেলে। মামলার ২ নং আসামী নুরনবী একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আঃ রশিদের ছেলে।

৩ নং আসামী ইব্রাহীম ৮ নং ওয়ার্ডের রফিজল বেপারীর ছেলে। মামলার ২ নং আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণ মামলা চলমান রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এ বিষয়ে মুফতি শামসুদ্দিন জানান, ঘটনা জানার পর আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়েছি। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আসামি গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ ” থানায় মামলা

আপডেট সময় ১০:২০:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় লম্পট শিক্ষকসহ আরো দুই জনের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কাচিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কালুগো কাওমী মাদ্রাসা শিক্ষক লম্পট হাসনাইন খাবারের লোভ দেখিয়ে নির্জন কক্ষে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।

ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় নুরনবী ও ইব্রাহীমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা কে মারধর করে গুরুতর আহত করে। ধর্ষণের ঘটনায় ৯ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে বোরহানউদ্দিন থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেছে নার্সারিতে পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর মা। মামলা নং – ৯/৩৫৭। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) কাওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে চকলেট ও বড়ই আচার খেতে দিয়ে ওই মাদ্রাসার নির্জন কক্ষে নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট শিক্ষক হাসনাইন। পরে ওই শিশু শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায়।

বাড়িতে এসে প্রশাব করার সময় রক্তক্ষরণ হয়। তখন ব্যথা যন্ত্রণায় চিৎকার করেন ওই শিশু শিক্ষার্থী। যৌনাঙ্গে রক্তাক্ত ফাটা চিহ্ন দেখতে পেয়ে বাচ্চার মা ঘটনা জানতে চাইলে ধর্ষণের শিকার শিশু শিক্ষক লম্পট হাসনাইন এর বিষয় বর্ণনা করেন। ধর্ষণের ঘটনা জিজ্ঞাসা করতে শিক্ষার্থীর বাবাসহ তার মা ওই মাদ্রাসায় যায়। সেখানে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার ১ নং আসামী ধর্ষক লম্পট হাসনাইনের পক্ষ নিয়ে মামলার ২ নং আসামী নুরনবী ও ৩ নং আসামী ইব্রাহীম শিশুর বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

এসময় ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হত্যার হুমকি দেয় তারা। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুফতি শামসুদ্দিন মাওলানার নেতৃত্বে কয়েক দফা বৈঠকে বসে। ধর্ষণের শিকার শিশু পরিবার সমাধানে রাজি না হওয়ায় ২ শত আলেম নিয়ে শিশুর পরিবারের ঘর বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান ওই শিশুর পরিবার। শিশু ধর্ষণ মামলার ১ নং আসামী অভিযুক্ত ধর্ষক হাসনাইন কাচিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চকডোস গ্রামের নাদুগো বাড়ির মাওলানা হাবিবুল্লাহ এর ছেলে। মামলার ২ নং আসামী নুরনবী একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আঃ রশিদের ছেলে।

৩ নং আসামী ইব্রাহীম ৮ নং ওয়ার্ডের রফিজল বেপারীর ছেলে। মামলার ২ নং আসামী নুরনবীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণ মামলা চলমান রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এ বিষয়ে মুফতি শামসুদ্দিন জানান, ঘটনা জানার পর আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়েছি। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আসামি গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।