ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৩ নং ওয়ার্ডের প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়া করে হাতে নাতে ধরা খেয়ে শ্বশুরে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে শ্বশুর পুত্র বঁধু লাইজুর বিরুদ্ধে আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা করেন, যার মামলা নং৭৬/২০২২, শ্বশুরের দেওয়া মামলায় প্রবাসীর স্ত্রী লাইজু বেগম(৩০) এখন জেলহাজতে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও অত্র মামলার বাদী আঃ হাশেম অভিযোগ করে বলেন- লাইজু বেগম আমার ছেলে জহিরুল ইসলামের বউ। আমার পুত্রবধু। আমার ছেলে জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থাকেন। আমার ছেলে বাড়ীতে না থাকায় মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পরেন।
আমি বিষয়টি অনুভব করতে পেরে লাইজু বেগমের পিতা মাতাকে জানালে আমাদের বাড়ীতে এসে লাইজু বেগমকে সংশোধন করে। যাতে ভবিষ্যতে এই রকম কাজ না করে তাদের মেয়েকে বুজিয়ে শুনিয়ে যায়। এবং তাহার পিতা-মাতা বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত হয়।
আমার পুত্রবধু সংশোধন না হয়ে আরো বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে। মোঃ ফয়েজ (৩৪) মাঝির সাথে আরও পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে ফয়েজ মাঝিকে তাহার আত্মীয় স্বজন বলে প্রায় বাড়ীতে নিয়ে আসে। অনেক সময় রাতে এসে সকালে যায়। এইভাবে অনেক দিন যাওয়ার পর এলাকাবাসীর চোখে পরে লাইজুর পরকীয়া।
এলাকাবাসী আমাকে নানা রকম কথা বললে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পরি। ২৫-০৩-২০২২ তারিখ সকালে ফয়েজ মাঝি বাড়ীতে আসলে লাইজু বেগম ও প্রেমিক ফয়েজ মাঝিকে অনৈতিক যৌনাচারে দুইজনকে হাতেনাতে ধরি। স্হানীয় মনিরুল ইসলামকে ডেকে এনে পুরো বিষয়টি জানালে মনিরুল ইসলাম আমার পুত্রবধুর পিতা-মাতাকে জানানোর জন্য বলিলে, আমি তাদেরকে আসার জন্য বলি। পরে আমার পুত্রবধু আমাকে গলাটিপে ধরে এমনকি এলোপাতাড়ি মাইরধর করে। প্রেমিক ফয়েজ মাঝিকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। আমাকে কিল-ঘুষি মেরে পালিয়ে যায়।
স্হানীয় মনিরুল ইসলাম পুরো বিষয়টি ভিডিও ধারণ করে প্রবাসী আমার ছেলে জহিরুল ইসলামের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। তাহাতে আমার প্রবাসী ছেলে উক্তরুপ ছবি ও ভিডিও দেখে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে, আমার ছেলে এই ঘটনাটি মোসা- মায়েনুর বেগম(৪৭) স্বামী ইয়াছিন, ইয়াছিন (৫৮)পিতা ইউসুফ আলী উভয় সাং-রসুলপুর ৫ নং ওয়ার্ড, থানা -শশিভূষণ। জানাইলে তারা আমার বাড়িতে আসে বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। ইয়াছিন ও মায়েনুর বেগমের সহায়তায় আমার ছেলের দেওয়া স্বর্নলংকার ও নগদ ৫০,০০০/ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) নিয়ে পালিয়ে যায়। এমনকি আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যায় তাহাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিলে আমাকে ও আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে। এবং আমার নাবালক নাতীদেরকে হত্যা করে আমার পরিবারকে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেন আমার পুত্রবধু লাইজু বেগম।
তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট থেকে জানা যায়- প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের জিজ্ঞাসা বাদ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করে। বাদীর উপস্থাপন মতে যৌনচারিতার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি আলামত হিসেবে জব্দ করে বাদী সহ সাক্ষীগনের স্বাক্ষর গ্রহন করে, সোর্স নিয়োগ করে মামলাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যাপক তদন্ত করে।লাইজু বেগম – স্বামী জহিরুল ইসলাম সাং টবগী ৩ নং ওয়ার্ড, বোরহানউদ্দিন, ভোলা। এর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধ মোঃ ফয়েজ মাঝি পেনাল কোডের ৪৯৭ ধারার অপরাধের প্রাথমিকভাবে সত্যতার প্রামান পাওয়া যায়।
এই মামলার তদন্তকারী এসআই সিজার হোসেন জানান- বিষয়টি আমি তদন্ত করে রিপোর্টটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। ভোলা কোর্ট সূত্রে জানতে পারি – আঃ হাশেম এর দেওয়া মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।