ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

ফজরের সুন্নত নামাজে যে সুরা পড়তেন নবীজি

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে যত সুন্নত নামাজ আছে এরমধ্যে ফজরের সুন্নত সব থেকে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু রয়েছে, তা থেকে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, মুয়াজ্জিন ফজরের আজান শেষ করলে ও ফজর উদিত হলে, রাসুল (সা.) ফজরের নামাজের আগে দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত সুন্নত পড়তেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০১)

ফজরের সুন্নতের আরো গুরুত্ব সম্পর্কে আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের যদি ঘোড়া রেখে চলেও যায়, তবু ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ত্যাগ করো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

এক হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা বলেন, ‘আমি এক মাস পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খেয়াল করে দেখেছি, তিনি ফজরের সুন্নতে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস এ দুই সূরা পড়েছেন। -(জামে তিরমিজি ৪১৭)

উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা রা. থেকেও এমন বর্ণনা রয়েছে। -(সহীহ ইবেন খুযাইমা, হাদীস ১১১৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৬৩৯৫)

এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, ফজরের সুন্নতের দুই রাকাতে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস পড়া সুন্নত। তবে এটি সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ তথা মুস্তাহাব আমল। কেউ ভিন্ন সুরা পড়লে তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেক সময় ফজরের সুন্নতের প্রথম রাকাতে সুরা বাকারার ১৩৬ নম্বর আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা আলে ইমরানের ৬৪ নম্বর আয়াত পড়ার বর্ণনা পাওয়া যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশির ভাগ সময় ফজরের সুন্নতের প্রথম রাকাতে সুরা বাকারার ১৩৬ নম্বর আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা আলে ইমরানের ৬৪ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করতেন। -(সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১১১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭২৭)

অতএব ফজরের সুন্নত নামাজে মাঝে মাঝে এই দুই আয়াত পড়াও উত্তম।

ফকিহ আলেমদের মতে, এই সুরা বা অন্য কোনও সুরা পড়াকে অবশ্যক মনে করা বা  নিজের পক্ষ থেকে কোনও নামাজের জন্য কোনও সুরা নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরিয়ত-পরিপন্থী।

-(দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, পৃষ্ঠা ২৪৮, মা-লা বুদ্দা মিনহু, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০, খুলাসাতুল ফাতাওয়া, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৬১ ফাতহুল কাদীর, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৯৪ আলবাহরুর রায়েক, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৪২ হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা: ৩৮৮ রদ্দুল মুহতার, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৫৪৪)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

ফজরের সুন্নত নামাজে যে সুরা পড়তেন নবীজি

আপডেট সময় ০২:২১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে যত সুন্নত নামাজ আছে এরমধ্যে ফজরের সুন্নত সব থেকে ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু রয়েছে, তা থেকে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, মুয়াজ্জিন ফজরের আজান শেষ করলে ও ফজর উদিত হলে, রাসুল (সা.) ফজরের নামাজের আগে দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত সুন্নত পড়তেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০১)

ফজরের সুন্নতের আরো গুরুত্ব সম্পর্কে আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের যদি ঘোড়া রেখে চলেও যায়, তবু ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ত্যাগ করো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

এক হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা বলেন, ‘আমি এক মাস পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খেয়াল করে দেখেছি, তিনি ফজরের সুন্নতে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস এ দুই সূরা পড়েছেন। -(জামে তিরমিজি ৪১৭)

উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা রা. থেকেও এমন বর্ণনা রয়েছে। -(সহীহ ইবেন খুযাইমা, হাদীস ১১১৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৬৩৯৫)

এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, ফজরের সুন্নতের দুই রাকাতে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস পড়া সুন্নত। তবে এটি সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ তথা মুস্তাহাব আমল। কেউ ভিন্ন সুরা পড়লে তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেক সময় ফজরের সুন্নতের প্রথম রাকাতে সুরা বাকারার ১৩৬ নম্বর আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা আলে ইমরানের ৬৪ নম্বর আয়াত পড়ার বর্ণনা পাওয়া যায়।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশির ভাগ সময় ফজরের সুন্নতের প্রথম রাকাতে সুরা বাকারার ১৩৬ নম্বর আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা আলে ইমরানের ৬৪ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করতেন। -(সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১১১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭২৭)

অতএব ফজরের সুন্নত নামাজে মাঝে মাঝে এই দুই আয়াত পড়াও উত্তম।

ফকিহ আলেমদের মতে, এই সুরা বা অন্য কোনও সুরা পড়াকে অবশ্যক মনে করা বা  নিজের পক্ষ থেকে কোনও নামাজের জন্য কোনও সুরা নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরিয়ত-পরিপন্থী।

-(দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, পৃষ্ঠা ২৪৮, মা-লা বুদ্দা মিনহু, পৃষ্ঠা ৪৯-৫০, খুলাসাতুল ফাতাওয়া, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৬১ ফাতহুল কাদীর, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৯৪ আলবাহরুর রায়েক, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩৪২ হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা: ৩৮৮ রদ্দুল মুহতার, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৫৪৪)