গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। কাতারের আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ১টায় নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ পর্বের আগের তিন ম্যাচ লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়াম নাইন সেভেন্টিফোরে খেলেছিলেন মেসি-দি মারিয়ারা।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে আটটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করেছে কাতার। নকআউট পর্বের এই ম্যাচে আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কাতারের ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম সফল ক্লাব আল-রাইয়ানের হোম ভেন্যু এই আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ সামনে রেখে পুরোনো ভেন্যুর ঠিক পাশেই নতুন করে এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়।
বিশ্বকাপের মোট সাত ম্যাচের ভেন্যু এটি। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বের ৬টি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েলস, বেলজিয়াম-কানাডা, ওয়েলস-ইরান, জাপান-কোস্টারিকা, ওয়েলস-ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়ামের ম্যাচ আগেই হয়ে গেছে।
নকআউট পর্বের বাকি একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। আর সেই ম্যাচেই খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া।
১৯৬০-৭২ সাল পর্যন্ত কাতারের বাদশাহ ছিলেন আহমাদ বিন আলি আল থানি। কাতারের আমূল পরিবর্তন হয় মূলত তার শাসনামলেই। ১৯৭৭ সালে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করা আমিরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে।
রাজধানীর মধ্যভাগ থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে আল রাইয়ানে স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। এডুকেশন সিটির কাছে এই ভেন্যুর জন্য একটি মেট্রো স্টেশন আছে।
২০১৬ সালের শুরুতে স্টেডিয়াটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। আল-বালাঘ ও লার্সেন এবং টার্বোর যৌথ তদারকিতে পরিবেশ বিবেচনায় রেখে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটি মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমির বালির টিলা ও ইসলামিক স্থাপত্যর আদলে নির্মাণ করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৩ সালে যখন প্রথম এই স্টেডিয়াম নির্মিত হয়, তখন এর ধারণক্ষমতা ছিল ২১ হাজার। বিশ্বকাপের পর এর ধারণক্ষমতা কমিয়ে ২০ হাজারে নামিয়ে আনা হবে।