নিজস্ব সংবাদদাতা
উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকান্ডের আসামিদের হাতে প্রকাশ্যে আদালত প্রাঙ্গণে এবারে লাঞ্ছিত হন নিহত পরিবারের সদস্য রুবেল। গত বৃহস্পতিবার ১৬ই জুন হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে নিহত উজ্জ্বল মিয়াজীর ছোট ভাই রুবেল তার একটি ব্যক্তিগত কাজে যান।কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পান হাইকোর্ট আদালত প্রাঙ্গণে উজ্জ্বল মিয়াজী হত্যাকাণ্ডের কয়েকজন আসামির উপস্থিতি। আইনজীবীর উপস্থিতিতে নিহত উজ্জ্বল মিয়াজীর ছোটভাই রুবেলকে আসামিরা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তার পকেট থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
মোবাইল ফোনটি পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। সে তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষার্থে দ্রুত পালাতে গিয়ে মাটিতে পরে মারাক্তক আহত হন। আশপাশের লোকজন মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করায়। ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই রুবেল এর আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়। চিকিৎসা গ্রহণ শেষে সুস্থ হওয়ার পর রুবেলকে সাথে নিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন শাহবাগ থানায় যায়। একপর্যায়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা রুজু করতে থানার অফিসার ইনচার্জ এর সামনে হাজির হয়। ঘটনার বর্ণনা শুনে এবং সত্যতা যাচাই পূর্বক থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশক্রমে একটি মামলা নথির্ভুক্ত হয় মামলা নাম্বার ২৫ /২২ তারিখ ১৭/০৬/২২ ।
একই সাথে আইনজীবীর উপস্থিতিতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারণে বার সমিতির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন আহত রুবেল। উজ্জ্বল মিয়াজীর হত্যার আসামিরা প্রকাশ্য দিবালোকে বিচার বিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুর্দান্ত ভয়ানক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের আসামি হওয়ার পরেও সাধারণ নিরীহ মানুষদের প্রাণনাশের হুমকি স্বরূপ রুবেলকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুসি রক্তাক্ত জখম নানাবিধ এই ভয়ানক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানালেন উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মামলার আসামিরা যথাক্রমে মেহেদি হাসান ওরফে নাহিদ খালাসী,পিতা জজ মিয়া খালাসী,আরিফুল ইসলাম ওরফে তুষার,পিতা কবির খালাসি ওরফে কবির চৌধুরী,জজ মিয়া খালাসী ওরফে ইকবাল চৌধুরী, পিতা সাহাবুদ্দী খালাসী ওরফে শাহ আলম চৌধুরী গং।