গত ২৬ অক্টোবর ইরানের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক তিন দফায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরাইলের এই হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল ইরান। তবে তা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা তাসনিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই জবাব দেবে ইরান।
লারিজানি তার সাম্প্রতিক সিরিয়া ও লেবানন সফরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমার সাম্প্রতিক সফরে হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের মধ্যে যে উচ্চ মনোবল দেখেছি তা অভাবনীয়। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে হিজবুল্লাহর সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, হিজবুল্লাহর তাদের সামরিক সরঞ্জাম কী তাহলে মঙ্গলগ্রহ থেকে নামিয়ে এনেছে?
তিনি আরো বলেন, আমি লেবাননে কাউকে হিজবুল্লাহকে রাজনৈতিক সমীকরণ থেকে সরানোর বিষয়ে কথা বলতে শুনিনি; লেবাননে রাজনীতিতে প্রতিরোধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা।
লারিজানি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলি সৈন্যরা দক্ষিণ লেবাননে অগ্রসর হয়নি কারণ তারা হিজবুল্লাহর কঠোর প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও নিজেদের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এক কমান্ডারের হত্যাকাণ্ডের জবাবে ইসরাইলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরাইল।
এ হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ তিনটি প্রদেশে তিন দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
এছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলে উভয় দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি পাল্টাপাল্টি হামলা হয়।