রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার ৭নং জয়নগর ইউনিয়ন পারিলা গ্রামের তরুণ জনপ্রিয় নেতা আলামিন হক বিজয় তাঁর নিজ এলাকা জয়নগরে ০৩.১০.২০২৪ ইং তারিখে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করেন।
সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও তরুণ সমাজ তাঁর এই শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন ।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাঁর পিতা হাজী মোঃ শামসুল হক ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি ছিলেন এবং তিনি ছাত্র দলের রাজনীতি করতেন। তাঁর পরিবার বিএনপির রাজনীতি করায় নানা ভাবে নির্যাতিত। এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা কর্মীরা বিভিন্ন সময় তাঁর ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, নির্যাতন ও দফায় দফায় চাঁদা নেয়।
উল্লেখ্য, তিনি বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজ বাড়িতে একটা রাত ঘুমাতে পারেননি ।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জনাব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেনে সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাজী মোঃ শামসুল হক বিএনপির নির্যাতিত এবং ত্যাগী নেতা। তার ছেলে আলামিন হক বিজয় ছোট থেকে আমার সাথে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্র দলের রাজনীতি করে আসছে এবং এখন পর্যন্ত আমার সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় আছে। নিঃসন্দেহে সে একজন সৎ, সাহসী, তরুণ জনবান্ধব নেতা। আমি তার ও তার পরিবারের পাশে আছি, আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমি তার সার্বিক সফলতা কামনা করি।
বিজয় হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, রাজনীতি আমার রক্তে । আমি আমার এলাকা ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নের জনগণ সঙ্গে নিয়ে উক্ত ইউনিয়নের মাটি থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী সহ সকল অন্যায় প্রতিহত করবো।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবেই । তারা আমার জনপ্রিয়তা নষ্টের জন্য সড়যন্ত্র করছে, আমার সম্মানহানির চেষ্টা করছেন। সম্মান দেওয়ার মালিক স্বয়ং আল্লাহ। আমি মনে করি যারা এটা করছে তারা আমার প্রচার করছেন। জনগণ জানে আমি ভাল না খারাপ।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার পরিবার নির্যাতিত হয়েছি, চাঁদা দিয়েছি, নিজ এলাকা ছেড়ে ছিলাম ১৬ বছর। এমন ঘটনা কোন ব্যক্তি বা পরিবারের উপর যেনো না ঘটে তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবো । আমি ৭ নং জয়নগর ইউনিয়ন বাসিকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ। আমি সমাজ কর্মে মাস্টার্স করেছি তাই সমাজের উন্নয়নে কাজ করা আমার মূখ্য উদ্দেশ্য,আপনারা আমাকে দোয়া ও সমর্থন দিয়ে পাশে থাকবেন।