ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না জুলুম-অন্যায়কে বিএনপি প্রশ্রয় দেবে না নাগেশ্বরীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পছন্দের বিয়ের বিপক্ষে অধিকাংশ পাকিস্তানি সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেফতার জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনার অভিযানে ০৩(তিন) কেজি গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত দুজনের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শনিবার (২৬ অক্টোবর) তাদের মরদেহ তোলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ।

যে দুজনের মরদেহ তোলা হয়েছে, তারা হলো- দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. রিফাত (১৬)। রিফাত উপজেলার সুন্দলপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপরজন দিনমজুর মো.বাবু মিয়া (২৩)। তিনি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশাচালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ওই দিন রাতেই মারা যায় রিফাত। পরদিন তার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবার।

এ ঘটনার ১৩ দিন পর ১৮ আগস্ট রিফাত হোসেনের মামা পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করা হয়। আদালতে করা মামলার বাদী নিহত রিফাতের মা নিপা বেগম। যেই মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুই মামলাতেই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকালে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে দিনমজুর মো. বাবু মিয়া (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশী লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না থাকায় আদালতের নির্দেশে দুজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ।

উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘তখন ময়নাতদন্ত করার মতো অবস্থা ছিল না। তাই লাশ দাফন করেছিল পরিবার। এখন আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আবার মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু

আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০৭:০০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত দুজনের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে শনিবার (২৬ অক্টোবর) তাদের মরদেহ তোলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ।

যে দুজনের মরদেহ তোলা হয়েছে, তারা হলো- দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. রিফাত (১৬)। রিফাত উপজেলার সুন্দলপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপরজন দিনমজুর মো.বাবু মিয়া (২৩)। তিনি উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশাচালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ওই দিন রাতেই মারা যায় রিফাত। পরদিন তার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে পরিবার।

এ ঘটনার ১৩ দিন পর ১৮ আগস্ট রিফাত হোসেনের মামা পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করা হয়। আদালতে করা মামলার বাদী নিহত রিফাতের মা নিপা বেগম। যেই মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুই মামলাতেই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

অপরদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকালে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে দিনমজুর মো. বাবু মিয়া (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশী লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না থাকায় আদালতের নির্দেশে দুজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ।

উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘তখন ময়নাতদন্ত করার মতো অবস্থা ছিল না। তাই লাশ দাফন করেছিল পরিবার। এখন আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবার পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

দাউদকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আবার মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’