ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে দেড় থেকে ২ কোটি ব্যারেল তেল পাওয়ার সম্ভাবনা রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না: রিজওয়ানা হাসান জামায়াত কর্মীদের সৎ, যোগ্য এবং সমাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন রাজবাড়ীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও খাবার বিতরণ কুরআনই একমাত্র দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির গ্যারান্টি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে মাহবুবের রহমান শামীম কুমিল্লা’য় সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক-২ শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদের বিক্ষোভ সমাবেশে এরশাদ উল্লাহ সাবেক দশ মন্ত্রীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার আদেশ কুমিল্লা সীমান্তে ২৫ লাখ টাকার ভারতীয় বাজি জব্দ

শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদের বিক্ষোভ সমাবেশে এরশাদ উল্লাহ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, শেখ হাসিনা এক সময় গর্ব করে বলেছিল, আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা পালায় না। তাহলে ৫ আগস্ট কেন পালাতে হল? রান্না করা খাবার পর্যন্ত কপালে জুটে নাই। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে গুম, খুন ও দুঃশাসনের বিচার হয়েছে।

এখন খুনি হাসিনাসহ যেসকল ব্যক্তিগণ গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণহত্যার বিচারের দাবীতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। যে সকল ছাত্র জনতা আওয়ামী বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। ছাত্র জনতা হত্যার বিচার না করলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তাই চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি সহ শহীদদের নামে রাস্তার নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে কাজীর দেউরী মোড়ে আওয়ামীলীগের নৈরাজ্য এবং রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনের বিচারের দাবিতে “শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদ” চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে বারবার গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এরকম দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য উপযুক্ত বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই ওয়াসিম আকরাম সহ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

স্মৃতি সংসদের আহবায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেলের সভাপতিত্বে ও এড. জায়েদ বিন রশিদ ও মহসিন কবির আপেলের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

এসময় নাজিমুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আইন বলে কিছু ছিল না। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা সারা বিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও বিভিন্ন মহলের সাথে মিশে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তাই এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই গণহত্যার বিচার করতে হবে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ঢেপটী, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, শহিদ তানভির ছিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি শফিউল্লাহ রাজু ও কামরুল হাসান শতাব্দী প্রমূখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে দেড় থেকে ২ কোটি ব্যারেল তেল পাওয়ার সম্ভাবনা

শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদের বিক্ষোভ সমাবেশে এরশাদ উল্লাহ

আপডেট সময় ০২:১৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, শেখ হাসিনা এক সময় গর্ব করে বলেছিল, আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা পালায় না। তাহলে ৫ আগস্ট কেন পালাতে হল? রান্না করা খাবার পর্যন্ত কপালে জুটে নাই। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে গুম, খুন ও দুঃশাসনের বিচার হয়েছে।

এখন খুনি হাসিনাসহ যেসকল ব্যক্তিগণ গণহত্যার সাথে জড়িত তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গণহত্যার বিচারের দাবীতে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ। যে সকল ছাত্র জনতা আওয়ামী বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। ছাত্র জনতা হত্যার বিচার না করলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তাই চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি সহ শহীদদের নামে রাস্তার নামকরণের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে কাজীর দেউরী মোড়ে আওয়ামীলীগের নৈরাজ্য এবং রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনের বিচারের দাবিতে “শহীদ ওয়াসিম আকরাম, তানভীর ও রাব্বি স্মৃতি সংসদ” চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে বারবার গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এরকম দুঃসাহস না দেখায় সেজন্য উপযুক্ত বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাহলেই ওয়াসিম আকরাম সহ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

স্মৃতি সংসদের আহবায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেলের সভাপতিত্বে ও এড. জায়েদ বিন রশিদ ও মহসিন কবির আপেলের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

এসময় নাজিমুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আইন বলে কিছু ছিল না। আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা সারা বিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও বিভিন্ন মহলের সাথে মিশে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তাই এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই গণহত্যার বিচার করতে হবে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মোবিন, শওকত আজম খাজা, হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ঢেপটী, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, শহিদ তানভির ছিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি শফিউল্লাহ রাজু ও কামরুল হাসান শতাব্দী প্রমূখ।