ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি

সুপার ওভারে নাটকীয়তায় পূর্ণ পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনটি ঘটে গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান হেরে গিয়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়েছে আমেরিকা। আর সেই সুপার ওভারটা চূড়ান্ত নাটকীয়তায় পূর্ণ ছিল।

সুপার ওভারে আমেরিকার ব্যাটিং এবং পাকিস্তানের বোলিং

প্রথম বল: অ্যারন জোনসের থেকে বলটা দূরে রাখতে চান মোহাম্মদ আমির। কিন্তু বলটা এতটাই দূরে ছিল যে ওয়াইড হয়ে যাচ্ছিল। সেটা অবশ্য হতে দেননি জোনস। বলটা বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন। ১ বলে ৪ রান।

দ্বিতীয় বল: নিখুঁত ইয়র্কার আমিরের। তবে ভালো খেলেন জোনস। মিড-উইকেট দিয়ে বলটা ফ্লিক করে দেন। দু’রান নেন। ২ বলে ৬ রান।

তৃতীয় বল: আরও একটা নিখুঁত ইয়র্কার আমিরের। জোনসের কাছে হাত খোলার কোনো সুযোগ ছিল না। ৩ বলে ৭ রান।

চতুর্থ বল (ওয়াইড) : ওয়াইড করেন আমির। দৌড়ে এক রান নিয়ে নেন হরমিত। ৩ বলে ৯ রান।

চতুর্থ বল: এক রান নেন জোনস। ৪ বলে ১০ রান।

পঞ্চম (ওয়াইড) বল: ফের ওয়াইড করেন আমির। সঙ্গে দৌড়ে এক রান নিয়ে নেয় হরমিত। যোগ হয় দুই রান। ৪ বলে ১২ রান।

পঞ্চম বল: আমিরের বলটা কাট করেন জোনস। দুই রান নেন। ৫ বলে স্কোর ১৪ রান।

ষষ্ঠ (ওয়াইড) বল: ওয়াইড করেন আমির। রিজওয়ান বল ধরতে-ধরতে এক রান নিতে দৌড়ান জোনসরা। রিজওয়ান থ্রো করেন। ওভারথ্রো হয়ে যায়। দৌড়ে আরও এক রান নেয় আমেরিকা। তিন রান যোগ হয়। ৫ বলে ১৭ রান।

ষষ্ঠ বল: ইয়র্কার করতে যান আমির। স্কোয়ার লেগের দিকে বলটা ঠেলে দেন জোনস। দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টা করেন। রান-আউট হয়ে যান। ৬ বলে ১৮ রান।

সুপার ওভারে পাকিস্তানের ব্যাটিং এবং আমেরিকার বোলিং

প্রথম বল: ইফতিকার আহমেদকে অনুসরণ করেন সৌরভ নেত্রভালকর। কোনো রান হয়নি। ১ বলে ০ রান।

দ্বিতীয় বল: লেংথ বল করেন সৌরভ। পুল মারেন ইফতিকার। লং-অন এবং ডিপ মিড-উইকেটের মধ্যে দিয়ে চার হয়ে যায়। ২ বলে ৪ রান।

তৃতীয় বল: অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন সুপার-সাব মিলিন্দ কুমার (ভারতীয় বংশোদ্ভূত, দিল্লিতে জন্ম, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে ছিলেন)। জোনসের জায়গায় তিনি ফিল্ডিং করতে নামেন। ইফতিকারকে নিচু ফুলটস করেন সৌরভ। বড় শট মারতে যান ইফতিকার। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মিলিন্দ। তিনি লং-অফে ছিলেন। পা ফেলে কিছুটা এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুরন্ত ক্যাচ নেন। বলটা ক্রমশ নিচের দিকে নামছিল। ফলে অত্যন্ত কঠিন ছিল ক্যাচ। ৩ বলে ৪ রান।

চতুর্থ (ওয়াইড) বল: ওয়াইড করেন সৌরভ। বলটা ছেড়ে দেন শাদাব খান। ৩ বলে ৫ রান।

চতুর্থ বল: ভাগ্যের বদন্যতায় চার পেয়ে যায় পাকিস্তান। পায়ের আঙুলে বলটা লেগে চার হয়ে যায়। ৪ বলে ৯ রান।

পঞ্চম বল: দারুণ ইয়র্কার। শাদাব বলটা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু লং-অফ এবং লং-অনের মধ্যে গিয়ে পড়ে বলটা। দুই রান নেন শাদাব। ৫ বলে ১১ রান।

ষষ্ঠ বল: শেষ বলে সাত রান দরকার ছিল। ছক্কা মারলে ফের সুপার ওভার হত। কিন্তু এক রানের বেশি নিতে পারেননি শাদাব। পাঁচ রানে জিতে যায় আমেরিকা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার!

সুপার ওভারে নাটকীয়তায় পূর্ণ পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ

আপডেট সময় ১১:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনটি ঘটে গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান হেরে গিয়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়েছে আমেরিকা। আর সেই সুপার ওভারটা চূড়ান্ত নাটকীয়তায় পূর্ণ ছিল।

সুপার ওভারে আমেরিকার ব্যাটিং এবং পাকিস্তানের বোলিং

প্রথম বল: অ্যারন জোনসের থেকে বলটা দূরে রাখতে চান মোহাম্মদ আমির। কিন্তু বলটা এতটাই দূরে ছিল যে ওয়াইড হয়ে যাচ্ছিল। সেটা অবশ্য হতে দেননি জোনস। বলটা বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেন। ১ বলে ৪ রান।

দ্বিতীয় বল: নিখুঁত ইয়র্কার আমিরের। তবে ভালো খেলেন জোনস। মিড-উইকেট দিয়ে বলটা ফ্লিক করে দেন। দু’রান নেন। ২ বলে ৬ রান।

তৃতীয় বল: আরও একটা নিখুঁত ইয়র্কার আমিরের। জোনসের কাছে হাত খোলার কোনো সুযোগ ছিল না। ৩ বলে ৭ রান।

চতুর্থ বল (ওয়াইড) : ওয়াইড করেন আমির। দৌড়ে এক রান নিয়ে নেন হরমিত। ৩ বলে ৯ রান।

চতুর্থ বল: এক রান নেন জোনস। ৪ বলে ১০ রান।

পঞ্চম (ওয়াইড) বল: ফের ওয়াইড করেন আমির। সঙ্গে দৌড়ে এক রান নিয়ে নেয় হরমিত। যোগ হয় দুই রান। ৪ বলে ১২ রান।

পঞ্চম বল: আমিরের বলটা কাট করেন জোনস। দুই রান নেন। ৫ বলে স্কোর ১৪ রান।

ষষ্ঠ (ওয়াইড) বল: ওয়াইড করেন আমির। রিজওয়ান বল ধরতে-ধরতে এক রান নিতে দৌড়ান জোনসরা। রিজওয়ান থ্রো করেন। ওভারথ্রো হয়ে যায়। দৌড়ে আরও এক রান নেয় আমেরিকা। তিন রান যোগ হয়। ৫ বলে ১৭ রান।

ষষ্ঠ বল: ইয়র্কার করতে যান আমির। স্কোয়ার লেগের দিকে বলটা ঠেলে দেন জোনস। দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টা করেন। রান-আউট হয়ে যান। ৬ বলে ১৮ রান।

সুপার ওভারে পাকিস্তানের ব্যাটিং এবং আমেরিকার বোলিং

প্রথম বল: ইফতিকার আহমেদকে অনুসরণ করেন সৌরভ নেত্রভালকর। কোনো রান হয়নি। ১ বলে ০ রান।

দ্বিতীয় বল: লেংথ বল করেন সৌরভ। পুল মারেন ইফতিকার। লং-অন এবং ডিপ মিড-উইকেটের মধ্যে দিয়ে চার হয়ে যায়। ২ বলে ৪ রান।

তৃতীয় বল: অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন সুপার-সাব মিলিন্দ কুমার (ভারতীয় বংশোদ্ভূত, দিল্লিতে জন্ম, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে ছিলেন)। জোনসের জায়গায় তিনি ফিল্ডিং করতে নামেন। ইফতিকারকে নিচু ফুলটস করেন সৌরভ। বড় শট মারতে যান ইফতিকার। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মিলিন্দ। তিনি লং-অফে ছিলেন। পা ফেলে কিছুটা এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুরন্ত ক্যাচ নেন। বলটা ক্রমশ নিচের দিকে নামছিল। ফলে অত্যন্ত কঠিন ছিল ক্যাচ। ৩ বলে ৪ রান।

চতুর্থ (ওয়াইড) বল: ওয়াইড করেন সৌরভ। বলটা ছেড়ে দেন শাদাব খান। ৩ বলে ৫ রান।

চতুর্থ বল: ভাগ্যের বদন্যতায় চার পেয়ে যায় পাকিস্তান। পায়ের আঙুলে বলটা লেগে চার হয়ে যায়। ৪ বলে ৯ রান।

পঞ্চম বল: দারুণ ইয়র্কার। শাদাব বলটা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু লং-অফ এবং লং-অনের মধ্যে গিয়ে পড়ে বলটা। দুই রান নেন শাদাব। ৫ বলে ১১ রান।

ষষ্ঠ বল: শেষ বলে সাত রান দরকার ছিল। ছক্কা মারলে ফের সুপার ওভার হত। কিন্তু এক রানের বেশি নিতে পারেননি শাদাব। পাঁচ রানে জিতে যায় আমেরিকা।