ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতাসীনরা অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা: মির্জা ফখরুল

‘বিএনপি নয়, ক্ষমতাসীনরাই অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা’ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৯ নভেম্বর) তিনটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করে।

তিনি বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে এবং তার যে গতি প্রতিদিন বাড়ছে, এতে তারা (ক্ষমতাসীনরা) ভীত হয়ে আগের বিষয়গুলোকে নিয়ে আসছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য কথাটা হচ্ছে, এই অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই।’

‘সেসময়ে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের লোকেরাই এর (অগ্নিসন্ত্রাস) সঙ্গে জড়িত। বাসের (অগ্নিসংযোগ) ব্যাপারটা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। যেটা দেখা গেলো যে, বাসের মালিক হচ্ছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির প্রধান এবং চৌদ্দগ্রামে যেটা ঘটেছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করে যে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে; সব কিছুর মূলে দেখা যায় যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত।’

বিএনপি কোনও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) একটা মুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আমরা নির্বাচন করা দল। অতীতে কখনওই অগ্নিসন্ত্রাস বা সন্ত্রাস করে আমরা ক্ষমতায় যাইনি, এখনো যেতে চাই না।‘

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, এতগুলো সমাবেশ হয়েছে। প্রত্যেকটা সমাবেশে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরে কী রকম অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের দল থেকে কোনোরকমের সন্ত্রাস বা উসকানিও দেওয়া হয়নি।

তারাই উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। অর্থাৎ তারা এই চলমান আন্দোলনকে আবার ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা নস্যাৎ করার জন্য এই পদ্ধতিটা বেছে নিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ করবে না। জনগণ দেখছে প্রতিমুহূর্তে, কারা কী করছে, না করছে।

বিকাল ৪টায় মাইনরিটি জনতা পার্টি, বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাপ ও বিকাল ৫টায় সাম্যবাদী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মাইনোরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের  এম এন শাওন সাদেকী এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

মাইনোরিটি জনতা পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দিলীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ আবদুল হাই, কমলেশ কুমার দাস, নিরদ বরণ মজুমদার, অশোক কুমার সরকার, ভবতোষ মুখার্জী সুবীর, শন্তু নাথ দাস, পল্লব চ্যাটার্জী, উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, শেখর চন্দ্র সরকার, সুমন কুমার সরকার, কেয়া সেন ও মিঠুর ভট্টচার্য।

সাম্যবাদী দলের অন্য সদস্যরা হলেন, সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, সাইফ উদ্দিন মাহমুদ, এরশাদ আলী, মেহেবুব মিয়া, আবু তাহের, শামসুল হক, আব্দুল গনি খান, সুমন হাওলাদার ও নুরুদ্দিন ঢালী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতাসীনরা অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১০:২৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

‘বিএনপি নয়, ক্ষমতাসীনরাই অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা’ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৯ নভেম্বর) তিনটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করে।

তিনি বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে এবং তার যে গতি প্রতিদিন বাড়ছে, এতে তারা (ক্ষমতাসীনরা) ভীত হয়ে আগের বিষয়গুলোকে নিয়ে আসছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য কথাটা হচ্ছে, এই অগ্নিসন্ত্রাসের মূলহোতা কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই, সরকার নিজেই।’

‘সেসময়ে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের লোকেরাই এর (অগ্নিসন্ত্রাস) সঙ্গে জড়িত। বাসের (অগ্নিসংযোগ) ব্যাপারটা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। যেটা দেখা গেলো যে, বাসের মালিক হচ্ছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির প্রধান এবং চৌদ্দগ্রামে যেটা ঘটেছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি করে যে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে; সব কিছুর মূলে দেখা যায় যে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত।’

বিএনপি কোনও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা (বিএনপি) একটা মুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, আমরা নির্বাচন করা দল। অতীতে কখনওই অগ্নিসন্ত্রাস বা সন্ত্রাস করে আমরা ক্ষমতায় যাইনি, এখনো যেতে চাই না।‘

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, এতগুলো সমাবেশ হয়েছে। প্রত্যেকটা সমাবেশে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপরে কী রকম অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের দল থেকে কোনোরকমের সন্ত্রাস বা উসকানিও দেওয়া হয়নি।

তারাই উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। অর্থাৎ তারা এই চলমান আন্দোলনকে আবার ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা নস্যাৎ করার জন্য এই পদ্ধতিটা বেছে নিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ করবে না। জনগণ দেখছে প্রতিমুহূর্তে, কারা কী করছে, না করছে।

বিকাল ৪টায় মাইনরিটি জনতা পার্টি, বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাপ ও বিকাল ৫টায় সাম্যবাদী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মাইনোরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের  এম এন শাওন সাদেকী এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ নিজ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

মাইনোরিটি জনতা পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দিলীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ আবদুল হাই, কমলেশ কুমার দাস, নিরদ বরণ মজুমদার, অশোক কুমার সরকার, ভবতোষ মুখার্জী সুবীর, শন্তু নাথ দাস, পল্লব চ্যাটার্জী, উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, শেখর চন্দ্র সরকার, সুমন কুমার সরকার, কেয়া সেন ও মিঠুর ভট্টচার্য।

সাম্যবাদী দলের অন্য সদস্যরা হলেন, সুরাইফুল ইসলাম মাহফুজ, সাইফ উদ্দিন মাহমুদ, এরশাদ আলী, মেহেবুব মিয়া, আবু তাহের, শামসুল হক, আব্দুল গনি খান, সুমন হাওলাদার ও নুরুদ্দিন ঢালী।