বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বাড়ছে।
অবরোধের দুদিন রাজধানীর বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। দু-একটি করে বিভিন্ন গন্তব্য ছেড়ে যাচ্ছিল। ছিল না যাত্রীর আনাগোনা।
সায়েদাবাদের বাস-মালিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৮০-৯০টির মতো বাস সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে গেছে। তারা আশা করছেন, দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অবরোধের গত দুদিনের চেয়ে বেশি বাস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যাত্রীর উপস্থিতিও কিছুটা বেশি।
চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, আমতলীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। সকাল ৯টার দিকে সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ের দিকে বিএম লাইনের একটি বাসকে বরিশালের যাত্রী তুলতে দেখা গেছে।
একই সঙ্গে সেখানে ছিল খুলনা রুটে চলাচল করা বনফুল পরিবহন, কুমিল্লা রোডে চলাচল করা তিশা পরিবহন, সিলেট রুটে চলাচল করা জিবি পরিবহন।
একই সময় বরিশাল-পটুয়াখালী-আমতলী-কুয়াকাটা রুটের সুগন্ধা পরিবহনও যাত্রী নিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ছেড়ে যায়।
সায়েদাবাদ টার্মিনালের রেললাইনের কাছে মিতালী পরিবহন (সিলেট রুটের বাস) ও তিশা পরিবহনের (কুমিল্লা রুটের বাস) বাসের কর্মীদের যাত্রী ডাকতে দেখা গেছে।
তিশা পরিবহনের হেল্পার জানান, আমরা এই দুইদিন গাড়ি চালাইনি। আজ বের করলাম। যাত্রী তো অনেক কম। তবে গাড়ি ভরতে আধাঘণ্টার মতো লাগবে।
কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী সুবহানাল্লাহ পরিবহনের একটি বিলাসবহুল গাড়ীও যাত্রীর অপেক্ষা করছিল।
জনপদ মোড়ে লাল-সবুজ বাস কাউন্টারে দায়িত্ব পালনকারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত দুদিনের তুলনায় আজ সায়েদাবাদে গাড়ি বেশি। তবে যাত্রী না হওয়ায় গত তিন দিন লাল-সবুজের কোনো গাড়ি ছাড়েনি।
ঢাকা জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম সারওয়ার বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টার মধ্যে ৮০ থেকে ৯০টি বাস ছেড়ে গেছে। গত দুদিনের চেয়ে আজ বাস বেশি ছাড়ছে যাত্রীও বেশি। অবরোধের প্রথম দিন ৭০-৮০টির মতো বাস গেছে। গতকাল বাস ছেড়েছে ১২০টির মতো।’
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রস্তুত থাকলেও যাত্রীর অভাবে সেভাবে বাস চলাচল করেনি। আশা করি দুপুরের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।