প্রান্তিক পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিমেড হেলথ। বেসরকারি একটি সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় ৬০টির অধিক ইউনিয়নে পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডোর টু ডোর এই চিকিৎসা সেবা।
তবে এ সেবাটি সারাদেশে চালু করতে গেলে প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সরকার যদি প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে মাত্র ১০০ টাকা বরাদ্দ রাখে, তাহলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের বাড়িতেই পৌঁছে যাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ সকল সেবা।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য জানান সিমেড হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, দেশে রেফারেল সিস্টেমের বাস্তবায়ন নেই। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ সামান্য অসুস্থ বোধ করলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। সাধারণ রোগীর ভিড়ে জটিল রোগীরা বঞ্চিত হন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা গ্রহণের।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডোর টু ডোর চিকিৎসা, রেফারেল সিস্টেম ও রোবটিক্স সেবাসহ বিভিন্ন আধুনিক চিকিৎসার মডেল নিয়ে কাজ করছে সিমেড হেলথ। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একজন ব্যক্তি ও জাতির মোট স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি, খরচ এবং সময়কে কমিয়ে দিতে পারে। অথচ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘকাল ধরে শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ভিত্তিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের কারণে দেশে এখন একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে। যা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সবার জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তুলবে।
সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে সিমেডের এই চেয়ারম্যান জানান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারলে সারাদেশে একটি সুন্দর মডেল প্রতিষ্ঠিত হবে পারে। এই মডেল অনুযায়ী সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া গেলে আধুনিক মানের সেবা দেওয়া যাবে। এর সঙ্গে কোন এলাকায় কোন রোগের প্রাদুর্ভাব সে অনুযায়ী আগাম ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সিমেড হেলথ একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপ যা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এটি ৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল নিশ্চিত করতে এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সুস্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সিমেড ডিজিটাল হেলথ কর্নার একটি কর্পোরেট স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প এবং সুস্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ফার্মেসি দ্বারা প্রদত্ত একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা সমাধান শুরু করেছে।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সিমডের সিইও মো. আশরাফ দাউদ, প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর ও হেড অব গ্রোথ মইন এইচ চৌধুরী, হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. এ কে এম নাজমুল ইসলাম, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।