বরিশাল: বরিশালের বাজারগুলোতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
প্রতিদিন সকাল থেকেই হাঁকডাক আর বেচাবিক্রিতে সরগরম থাকার কথা থাকলেও অলস সময় পার করছেন বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম নগরের পোর্টরোডের বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকরা। তারা বলেছেন জুলাই মাসের শুরু থেকে মৌসুম শুরু হলেও বাজারে দেখা নেই ইলিশের।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪শ থেকে ১৫শ টাকায় বিক্রি হয়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এতে বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
মনির হোসেন নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, যে মাছ আগে দুই থেকে আড়াইশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, এখন তা তিন থেকে সাড়ে ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ইলিশের যা দাম কেনার সুযোগই নেই।
মাসুম নামের এক মাছ বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২০ জুলাই। স্থানীয় নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম। এজন্যই মাছের বাজার চড়া।
নিষেধাজ্ঞা শেষে সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশ ইলিশসহ অন্য মাছের দামও কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
পোর্টরোডের মৎস্য অবতরণকেন্দ্র আড়তদার সমিতির অর্থ সম্পাদক ইয়ার হোসেন শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার দুই-চার দিন পরে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তখন বাজারে মাছের দামও কিছুটা কমবে।
পোর্টরোডের মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে ১৭০টি আড়তে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন এক কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায়।