শস্য চুক্তি নবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা করতে বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন জেলেনস্কি।
শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান।
কৃষ্ণ সাগরের শস্য চুক্তি কমপক্ষে তিন মাস বাড়ানোর জন্য রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছেন বলে জানান এরদোয়ান এবং আগস্টে পুতিন তুরস্ক সফর আসবেন এবং এই বিষয়ে আলোচনা হবে।
আঙ্কারায় জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার (৮ জুলাই) এরদোয়ান বলেন, ‘আগামী আগস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফরের সূচি রয়েছে। সে সময় শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা হবে আমাদের। আশা করছি, সেই আলোচনা সফল হবে। ’
এরদোয়ান বলেন, কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তির মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হচ্ছে তবে চুক্তিটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ানোর কাজ চলছে। আমরা এই চুক্তির মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়াতে চাই। তবে আপাতত তা তিন মাস বাড়ানোর চেষ্টা থাকবে। এ সংক্রান্ত কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী মাসে তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে এই চুক্তিটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে।
অবশ্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আর আগ্রহী নয় বলে গত জুন মাসে জানিয়েছিল রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের তুরস্ক সফরের পর সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে পারে মস্কো।
এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, এরদোয়ান ও জেলেনস্কির বৈঠক মস্কোর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন শুরু হলে কৃষ্ণ সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইউক্রেনের গুদামগুলোতে আটকে পড়ে ২৬ লাখ টন গম,ভুট্টা ও কয়েক লাখ টন সূর্যমুখী তেলবীজ।
এ ঘটনার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গম ও ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশের শস্য আটকে পড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে আটা-ময়দা-ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম।
এই পরিস্থিতিতে আটকেপড়া গম-ভুট্টা ছাড়ের জন্য গত বছর আগস্টে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় সমঝোতা চুক্তি করেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন।