বার্ষিক ‘চিফ অফ মিশন’ সম্মেলনের জন্য ওয়াশিংটনে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং কনসাল জেনারেলরা। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে তাদের জন্য একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
রাষ্ট্রদূতদের সামনে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বাইডেন বলেন, আমেরিকা আজকে কী করছে এবং আমেরিকা তার কাজটি কতোটা ভালোভাবে করছে তা “পরবর্তী চার বা পাঁচ প্রজন্ম কেমন ধরনের হবে সেটি নির্ধারণ করতে চলেছে।” হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে বলা হয়ঃ গণতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বাইডেন তার দূতদের মানবাধিকারকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে বলেন, “যাতে আমরা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে পারি।”
“এই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ” সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাইডেন জানান, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে পুতিন যে নৃশংস যুদ্ধ চালাচ্ছেন তিনি তার বিরুদ্ধে “দাঁড়িয়েছেন”। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয়দের আত্মরক্ষায় সহায়তা করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কারণ আমরা যদি এটা না করি, তাহলে কি হবে কল্পনা করুন। চিন্তা করুন। এটি রসিকতার কোনো বিষয় নয়।” জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলা করা এবং পরবর্তী মহামারীর জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের প্রসঙ্গ টানেন বাইডেন।
আজারবাইজান ভিত্তিক বার্তা সংস্থা তুরান ইনফরমেশন এজেন্সির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উক্ত বক্তব্যের সময় তার ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সকল রাষ্ট্রদূতদের সাথে তিনি নিজের বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেন।