শিরোপা জয়ে কেবল খেলোয়াড়দের ভাগেই পুরো কৃতিত্ব যায় না। তাদের দিক-নির্দেশনা দিয়ে শৃঙ্খলার সঙ্গে শিরোপার পথে চালিত করার নৈপথ্যের নায়ক তো দলীয় কোচ ও কর্মকর্তারা। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে এক সুতোয় বাধতে এক্ষেত্রে কোচের অবদানই সবচেয়ে বেশি থাকে। নবম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর্দা নামতে যাচ্ছে আজ। ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাওয়া দল দুটি হচ্ছে- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স।
শিরোপা নির্ধারণী এ ম্যাচের আগে স্বভাবতই সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু- আসরসেরার ট্রফি এবার কার হাতে উঠছে! দলের গুরুত্বপূর্ণ তারকা ও অধিনায়কের পাশাপাশি আলোচনায় আছেন দুই কোচও। দুই দেশীয় কোচের কাঁধে অর্পিত হয়েছে কুমিল্লা ও সিলেটের পরিচালনার ভার। কুমিল্লার অগ্রভাগে আছেন প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে, সিলেটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোচ ও সাবেক দেশি ক্রিকেটার রাজিন সালেহ ও সফল টাইগার কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এবারই প্রথম প্রধান কোচ হয়ে সিলেটকে ফাইনালের মঞ্চে তুলেছেন রাজিন সালেহ। যদিও দলীয় অধিনায়ক এর আগে ঢাকা, রংপুর এবং কুমিল্লার হয়ে শিরোপা জিতেছেন। অন্যদিকে কুমিল্লার কোচ হলেও সালাউদ্দিন সাকিব-মাশরাফি সবারই গুরু। ফর্মহীনতা কিংবা দুশ্চিন্তার মাঝে তিনি তাদের সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকেন। এই কোচ শুরু থেকেই আছেন কুমিল্লার সঙ্গে। দলটির হয়ে সালাউদ্দিন তিনবার শিরোপাও জিতেছেন। অন্যদিকে ইমরুল কায়েস কুমিল্লার হয়ে দু’বার দেখা পেয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ও সিলেট। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি এই ম্যাচে তৈরি হতে যাচ্ছে সালাউদ্দিন-রাজিন দ্বৈরথ। ম্যাচ শুরুর আগে অবশ্য দুপুর ৩টায় বিপিএলের সমাপনী অনুষ্ঠান মাঠে গড়াবে।
মিরপুরে সমাপনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাবেন নগর বাউলের জেমস এবং ওয়ারফেজ। সঙ্গে থাকছেন আরেক ব্যান্ডশিল্পী মাকসুদ। এছাড়া ম্যাচ শেষে রাতে থাকছে আতশাবাজি এবং বিম শো।