মৌসুমের শুরু থেকেই শিরোপাখরা কাটানোর মিশনে নেমেছিল আর্সেনাল। টানা ১৯ ম্যাচে ১৮ জয়ে তাদের প্রায় দুই দশক ধরে না জেতা শিরোপার স্বপ্ন দানা বাধতে থাকে। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন হয় দলটির। এর পরের তিন রাউন্ডের মাঝে দুটিতেই হেরে বসে তারা। সর্বশেষ টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখার লড়াইয়েও ম্যানচেস্টার সিটির বাধা পেরোতে পারেনি আর্সেনাল। পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা তাদের হারিয়েছে ৩-১ গোলে।
বুধবার এমিরেটসে ম্যানচেস্টার সিটিকে ঘরের মাঠে আতিথ্য জানায় আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের ভুলে পাওয়া বল পেয়ে শুরুতেই সিটিকে লিড এনে দেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ২৪তম মিনিটে ম্যাচের গতি ধরতে না পারা দলটি আর্সেনালের উপহারেই গোল করে বসে। এর মাত্র মিনিট দুয়েক আগে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু দারুণ পজিশনে বল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এনকেটিয়া।
পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা অবশ্য ভালোভাবেই কাটিয়ে ওঠে আর্সেনাল। শুরুর মতোই তারা আক্রমণে শান দিতে থাকে। ৪২তম মিনিটে এনকেটিয়াকে সিটি গোলরক্ষক এডারসন ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত স্পট কিকে ইংলিশ ফরোয়ার্ড সাকা সমতা টানেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারো এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। তবে রদ্রির হেডে বল নাথান আকের পা ছুঁয়ে এক ড্রপে লাগে ক্রসবারে। বেঁচে যায় আর্সেনাল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সমান তালে খেলতে থাকে দু’দল। তবে ৭২তম মিনিটে মাঝমাঠে আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মাগালেসের ভুলে বল ধরে আক্রমণে ওঠে সিটি। ডি-বক্সের মুখ থেকে বাঁয়ে পাস বাড়ান হলান্ড, গুনদোয়ান বল ধরে ডি-বক্সে বাঁ দিকে খুঁজে নেন গ্রিলিশকে। তার নিচু কোনাকুনি শটে বল তোমিইয়াসুর পায়ে সামান্য দিক পাল্টে খুঁজে পায় ঠিকানা।
১০ মিনিট বাদেই হলান্ডের দারুণ গোলে আর্সেনালের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ হয়ে যায়। প্রিমিয়ার লিগে ২৬ গোল নিয়ে হলান্ড আসরের সর্বোচ্চ স্কোরদাতাও তিনি।
এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট ৫১। সমান সংখ্যক জয় ও ড্র আর্সেনালের। সমান ম্যাচ খেলে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।