ফাইনালের মহারণ দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর শেষ হতে চলেছে। এবারের আসর দেশীয় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে স্বপ্নের মতো কিছু সময় উপহার দিয়েছে। তার মধ্যে সিলেট স্টাইকার্সের নাজমুল হোসেন শান্তও রয়েছেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান করা শান্ত এবার ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সমস্ত সমালোচনাকেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ম্যাচে রান পেলেও মেজাজ ঠিক রাখতে পারছেন না তিনি। তাই তো ফাইনালে নামার আগেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
ঘটনার শুরু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষের ম্যাচে শান্ত আউট হওয়ার পর। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মাঠ ছাড়ার সময়ই অসদাচরণ করেন তিনি। যে কারণে বিপিএলের ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ ভঙ্গের দায়ে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে শান্তকে।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২ ধারা ভেঙেছেন শান্ত। এটি লেভেল ওয়ান পর্যায়ের অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে একটি বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি শাস্তি কিছুটা কমই পেয়েছেন।
রংপুরের বিপক্ষে ৩০ বলে ৪০ রান করে শেখ মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হন শান্ত। অন ফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলেও রংপুর রিভিউ নিয়ে উইকেট পেয়ে যায়। বলটি খেলতে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শান্ত। ফলে টিভি আম্পায়ারের দেওয়া সেই আউটের সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না এই ওপেনার।
চলমান বিপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩৭ দশমিক ৬৭ গড়ে সর্বোচ্চ ৪৫২ রান করেছেন শান্ত। আসরে তিনটি অর্ধশতক রয়েছে তার। এরপর এক ম্যাচ কম খেলে ৪২৫ রানে রনি তালুকদার দুইয়ে এবং ৪০৩ রান নিয়ে তিনে অবস্থান করছেন তৌহিদ হৃদয়।