ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে খুব একটা ভুল করেনি আর্সেনাল। শুরু থেকেই শীর্ষস্থান ধরে রাখা মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা ১৯ ম্যাচ পর্যন্ত বড় ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল। কিন্তু ২০তম ম্যাচে এসে সাকা-মার্টিনেল্লিদের চমকে দিয়ে জয় তুলে নেয় এভারটন। তাতে একক রাজত্ব হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছিল আর্সেনালের।
কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। লিগ শিরোপা জয়ের দৌড়ে আর্সেনাল এগিয়ে থাকলেও শুরু থেকেই তাদের দৌড়ের উপর রাখছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। আর্সেনালের হারে এবার সুযোগ ছিল ব্যবধানটা আরও কমিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো তারা। রোববার রাতে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে সিটিজেনরা।
তবে টটেনহ্যামের মাঠে লড়াইটা হয়েছে দারুণ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের গতি ছিল বেশ। বল দখলে সিটি শুরু থেকে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগেই গোল পায় টটেনহ্যাম। সিটির ডিফেন্ডার মানুয়েল আকনজির দুর্বল পাসে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পিয়া-এমিল হয়বিয়া বাড়ান কেইনকে। প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
এই গোলে টটেনহ্যামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়েছেন কেইন। ২৬৭ গোল করে তিনি পেছনে ফেলেছেন ্দলটির কিংবদন্তি জিমি গ্রিভসকে। ১৯৭০ সাল থেকে এই রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন গ্রিভস।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি সফরকারীরা। ছয় বক্সের বাইরে থেকে রিয়াদ মাহরেজের হাফ ভলি ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।
৬০তম মিনিটে মাহরেজের বদলি হিসেবে কেভিন ডে ব্রুইনেকে নামান সিটির কোচ। পাঁচ মিনিট পর বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। পরের মিনিটে ইভান পেরিসিচের ক্রসে দূরের পোস্টে ডাইভ দিয়ে পা ছোঁয়াতে পারেননি কেইন।
সিটির তারকা ফুটবলার আর্লিং হলান্ডের দিনটা আজ ভালো কাটেনি। গোল করার তেমন কোনো সুযোগই পাননি সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। তাতে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে।
এই হারে অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে পেছাচ্ছে না সিটি। ২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাক গার্দিওলার দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। তিনে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৪২।