ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে স্টেডিয়ামের কাছাকাছি বিষ্ফোরণ, বন্ধ থাকলো ম্যাচ

রোববার পিএসএলের প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স এবং পেশোয়ার জালমি। কোয়েটায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল প্রদর্শনী ম্যাচ। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের কাছাকাছি এক বোমা বিষ্ফোরণ হয়। আর এই বিষ্ফোরণের জেরেই কোয়েটা-পেশোয়ারের ম্যাচ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। 

বোমা বিস্ফোরণটি হয়েছে মূলত কোয়েটার মুসা চকে। বিস্ফোরণের ফলে বহু লোক আহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামের কাছাকাছি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে খেলার মাঠেও। নিরাপত্তাকর্মীদের শঙ্কা তৈরি হয় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে। তাই খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখেন তারা।

খেলা বন্ধ রেখে খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ম্যাচেও আক্রমণে সম্ভাবনা থাকায় এমনটা করেছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে ড্রেসিংরুমে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি খেলোয়াড়দের। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই মাঠে নেমে পড়েন খেলোয়াড়রা।

সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ম্যাচ বন্ধ করে কিছুক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ম্যাচ আবার শুরু হয়।’

জানা গেছে, উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া হামলার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সেখানে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করা হয়েছিল। বিস্ফোরণে মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে স্টেডিয়ামের কাছাকাছি বিষ্ফোরণ, বন্ধ থাকলো ম্যাচ

আপডেট সময় ১২:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রোববার পিএসএলের প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স এবং পেশোয়ার জালমি। কোয়েটায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল প্রদর্শনী ম্যাচ। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের কাছাকাছি এক বোমা বিষ্ফোরণ হয়। আর এই বিষ্ফোরণের জেরেই কোয়েটা-পেশোয়ারের ম্যাচ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। 

বোমা বিস্ফোরণটি হয়েছে মূলত কোয়েটার মুসা চকে। বিস্ফোরণের ফলে বহু লোক আহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামের কাছাকাছি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে খেলার মাঠেও। নিরাপত্তাকর্মীদের শঙ্কা তৈরি হয় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে। তাই খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখেন তারা।

খেলা বন্ধ রেখে খেলোয়াড়দের নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ম্যাচেও আক্রমণে সম্ভাবনা থাকায় এমনটা করেছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে ড্রেসিংরুমে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি খেলোয়াড়দের। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই মাঠে নেমে পড়েন খেলোয়াড়রা।

সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ম্যাচ বন্ধ করে কিছুক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ম্যাচ আবার শুরু হয়।’

জানা গেছে, উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া হামলার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সেখানে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করা হয়েছিল। বিস্ফোরণে মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন।