ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের শীর্ষে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পুরো ঘটনাটাই ঘটেছিল উদ্দেশ্য প্রনিত ধুম্রজালে দখল-চাঁদাবাজি-ইজারায় হাত বদল: হেমায়েতপুর-আমিনবাজারে ‘নতুন সম্রাট’ মুশা সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শুভ উদ্বোধন হলো ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) এর রংপুর শাখা পানিতে ডুবে প্রতিটি মৃত্যুই প্রতিরোধযোগ্য: পঙ্কজ বড়ুয়া চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত

বিএনপির পদযাত্রা নয়, এটা মরণযাত্রা : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এভাবেই তারা পরাজিত হবে। আন্দোলনে হবে, আগামী নির্বাচনেও তাদের মরণ হবে। রাজনৈতিক মরণ। এত লাফালাফি, এত ছোটাছুটি, এত লোটা-কম্বল, এত কাঁথা-বালিশ। সমাবেশ হলে সাতদিন ধরে সমাবেশস্থলে শুয়ে পড়ে, আর পাতিলের পর পাতিল খাবার তৈরি হয়, কোথায় গেল সে দিন। কোথায় গেল লালকার্ড? কোথায় গেল গণঅভ্যুত্থান? কোথায় গেল গণজোয়ার? গণজোয়ারে এখন ভাটার টান। তাই এটা পদযাত্রা নয়, পেছনযাত্রা। এটা পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা। 

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো এখন কথার রাজা। মির্জা ফখরুল, কাজ নেই শুধু কথা আর কথা। শুধু কথার মালার চাতুরী। কাজ করছি, আর বাধ্য হয়ে তাদের কথার জবাব দিচ্ছি। তারা একতরফা মিথ্যাচার করবে। আমরা কী চুপচাপ বসে থাকব? আমাদের অবশ্যই জবাব দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ।

তিনি বলেন, আজকে শান্তি সমাবেশ থেকে বলব, ডাক দিলে চলে আসবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ আমরা ছাড়ব না। আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, এ শীতের কষ্টেও মানুষের পাশে আছি। মানুষের দুঃখে, মানুষের কষ্টে, দুর্যোগে, ঝড়ে, বন্যায় মানুষের পাশে ছিলাম।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দলের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। অনেক গভীরে। তাই আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেবেন, এ দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ পালাবে না। আওয়ামী লীগ পালাবার দল নয়, এ দেশেতে জন্ম আমার যেন এ দেশেতে মরি। ষাটের দশকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাচ্ছিল, কুর্মিতলা জেল গেটে কুয়াশা ভেজা একখণ্ড মাটি কপালে ঠেকালেন। কপালে ঠেকিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, হে বাংলার মা আমি যেন জীবনে মরণে সবসময় তোমার পাশে থাকি। আজ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, আমি জানি না। কিন্তু বলতে চাই, এ দেশেতে জন্ম আমার যেন এ দেশেতে মরি। এটা বঙ্গবন্ধুর কথা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলব, এ শীতে মানুষ কষ্টে আছেন, আর তারা (বিএনপি) পদযাত্রা করছে, আমরা শীতবস্ত্র দিচ্ছি। তারা বাড্ডাতে, আমরা উত্তরায়।

খেলা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে! এটা না বললে জমে না। হবে তো খেলা। আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, খেলা হবে। বলে ৫৪ দল, আবার বলে ১০ দফা, আবার বলে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা। গতকাল দেখলাম ১৪ দফা। ৫১ দফার আন্দোলন চলছে, দল হচ্ছে ৫৪টা জগাখিচুড়ি, ঐক্যজোট জগাখিচুড়ি। কর্মসূচি কোনো দিনও এদেশে সফল হবে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএসটিআই এর অভিযানে ও জরিমানা

বিএনপির পদযাত্রা নয়, এটা মরণযাত্রা : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০২:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এভাবেই তারা পরাজিত হবে। আন্দোলনে হবে, আগামী নির্বাচনেও তাদের মরণ হবে। রাজনৈতিক মরণ। এত লাফালাফি, এত ছোটাছুটি, এত লোটা-কম্বল, এত কাঁথা-বালিশ। সমাবেশ হলে সাতদিন ধরে সমাবেশস্থলে শুয়ে পড়ে, আর পাতিলের পর পাতিল খাবার তৈরি হয়, কোথায় গেল সে দিন। কোথায় গেল লালকার্ড? কোথায় গেল গণঅভ্যুত্থান? কোথায় গেল গণজোয়ার? গণজোয়ারে এখন ভাটার টান। তাই এটা পদযাত্রা নয়, পেছনযাত্রা। এটা পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা। 

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো এখন কথার রাজা। মির্জা ফখরুল, কাজ নেই শুধু কথা আর কথা। শুধু কথার মালার চাতুরী। কাজ করছি, আর বাধ্য হয়ে তাদের কথার জবাব দিচ্ছি। তারা একতরফা মিথ্যাচার করবে। আমরা কী চুপচাপ বসে থাকব? আমাদের অবশ্যই জবাব দিতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান প্রমুখ।

তিনি বলেন, আজকে শান্তি সমাবেশ থেকে বলব, ডাক দিলে চলে আসবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ আমরা ছাড়ব না। আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, এ শীতের কষ্টেও মানুষের পাশে আছি। মানুষের দুঃখে, মানুষের কষ্টে, দুর্যোগে, ঝড়ে, বন্যায় মানুষের পাশে ছিলাম।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ দলের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। অনেক গভীরে। তাই আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেবেন, এ দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ পালাবে না। আওয়ামী লীগ পালাবার দল নয়, এ দেশেতে জন্ম আমার যেন এ দেশেতে মরি। ষাটের দশকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাচ্ছিল, কুর্মিতলা জেল গেটে কুয়াশা ভেজা একখণ্ড মাটি কপালে ঠেকালেন। কপালে ঠেকিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, হে বাংলার মা আমি যেন জীবনে মরণে সবসময় তোমার পাশে থাকি। আজ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, আমি জানি না। কিন্তু বলতে চাই, এ দেশেতে জন্ম আমার যেন এ দেশেতে মরি। এটা বঙ্গবন্ধুর কথা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলব, এ শীতে মানুষ কষ্টে আছেন, আর তারা (বিএনপি) পদযাত্রা করছে, আমরা শীতবস্ত্র দিচ্ছি। তারা বাড্ডাতে, আমরা উত্তরায়।

খেলা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে! এটা না বললে জমে না। হবে তো খেলা। আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, খেলা হবে। বলে ৫৪ দল, আবার বলে ১০ দফা, আবার বলে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা। গতকাল দেখলাম ১৪ দফা। ৫১ দফার আন্দোলন চলছে, দল হচ্ছে ৫৪টা জগাখিচুড়ি, ঐক্যজোট জগাখিচুড়ি। কর্মসূচি কোনো দিনও এদেশে সফল হবে না।