সময়ের সঙ্গে নানা পরিবর্তন এসেছে ফুটবল খেলায়। মূলত প্রযুক্তির ব্যবহারে এসেছে একের পর এক সংযোজন। ১৯৭০ ফিফা বিশ্বকাপের পর থেকে একটি বিষয় আজও অপরিবর্তিত আছে। তা হলো রেফারির কার্ডের প্রয়োগ। ফুটবলারের লঘু অপরাধে রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে তাকে মার্চিং অর্ডার দেন। তবে এই প্রথম ফুটবল দেখল সাদা কার্ড। রেফারির ছোট্ট বুক পকেট থেকে বেরিয়ে এলো দুধ সাদা রঙের একটি কার্ড। লেখা হলো নতুন ফুটবল ইতিহাস।
গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) পর্তুগালে বেনফিকা বনাম স্পোর্টিং লিসবনের মহিলা দলের খেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। মূলত স্পোর্টসম্যানশিপকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পর্তুগালে চালু হয়েছে সাদা কার্ড। মাঠে এক ফ্যান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের মেডিকেল স্টাফরা ছুটে এসেছিলেন তার চিকিৎসা করার জন্য। এ ঘটনা দেখার পরই পর্তুগিজ রেফারি ক্যাটারিনা ক্যাম্পোস সাদা কার্ড দেখান। এ ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বেনফিকা এই ম্যাচটি ৫-০ গোলে জিতে সেমিফাইনালে চলে গেছে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশ ফুটবলের সংজ্ঞাটাই বদলে দিতে চাইছে। পর্তুগাল’স ন্যাশনাল প্ল্যান ফর এথিকস ইন স্পোর্ট ওরফে পিএনইডি নিয়ে কাজ করেছে। ফুটবলের নৈতিক দিকের উন্নয়নের জন্যই এমনটা করেছে তারা। সাদা কার্ডই শুধু পর্তুগাল আনেনি। তারা ক্রিকেটের মতো কনকাশান সাবস্টিটিউট ও দীর্ঘতর স্টপেজ টাইমের পথেও হেঁটেছে। সব টুর্নামেন্টেই মানা হচ্ছে এই নিয়ম।