আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলন, সংগ্রাম ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপির নিজেদেরই পদত্যাগ করা উচিত।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের ১৬ তম সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা শহরে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের করণীয় বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীকে সভাপতি করে সড়ক পরিবহন, ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, ডিএমপি কমিশনার ও ডিটিসিএ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা মূলত সমন্বয়ের জন্য। এখানে মূলত সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাকে প্রপোজাল দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই কমিটি করেছি। কমিটি করেছি আরও ভালো ভাবে সমন্বয় করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে খোঁড়াখুঁড়ির দেখে থাকি। বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। রাস্তা কাটাছিড়া করতে হলে সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করতে হবে। যার যে প্রকল্প আছে সেটাও সিটি কর্পোরেশনকে জানাতে হবে। ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারে লক্ষ্যে নিদের্শনা দিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। ব্লক পরিবেশবান্ধব সে কারণে এই ব্যবস্থাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চারটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যাগ গ্রহণ করা হয়েছে। নিমতলী বস্তির জায়গা হস্তান্তরের বিষয়টি সাব কমিটির আলোচ্যসূচির মধ্যে থাকবে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন ও তার আশেপাশের কয়েক জেলা প্রসারিত করার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত আসে এখানে, সে কারণে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের আট লেন করি, ছয় লেন করি, যতই উড়াল সড়ক, যতই আমরা কাজ করি, শৃঙ্খলা না এলে সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। যদি শৃঙ্খলার এতো ক্ষারতি থাকে। যে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে যে উন্নয়ন, যে অর্জন এটা বিশ্বের বিস্মকর। বাংলাদেশ শুধু সড়ক সেতুতে কী বিস্ময়কর উন্নয়ন করেছে। উন্নয়ন সব জায়গা। আমাদের স্থানীয়, আমাদের শিক্ষা, আমাদের বিদ্যুৎ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন। এরপরও আমরা যখন রাস্তায় বের হই সেখানে শৃঙ্খলার অভাব। সড়কে শৃঙ্খলার অভাব, এইগুলাে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এতো উন্নত জাতি, যেটা সমৃদ্ধি দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তারপরও কেন সচেতন হবো না। শৃঙ্খলার ব্যাপারে আমরা সজাগ হবো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কবে সম্মেলন হয়েছে ফখরুল সাহেবের কী মনে আছে? আন্দোলনেও ব্যথ, নির্বাচনেও ব্যথ। কাজে বিএনপির নেতাদের টপ টু বটম অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। সেটা সময়ের ব্যাপার কী-না আমরা দেখতে চাই।
তিনি বলেন, তারা নিজের ঘরে চর্চা করে না, আওয়ামী লীগে প্রতি তিন বছর পরপর সম্মেলন হয়, প্রত্যেক মাসে আমাদের সম্পাদকমন্ডলির মিটিং হয়। প্রত্যেক ৬ মাসে আমাদের জেলাগুলোকে নিয়ে বর্ধিত সভা হয়। এক বছরে আমাদের জাতীয় কমিটির সভা হয়। আমি পিটার হাসকে (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অনুরোধ করব, আপনারা ডেমোক্রেসির কথার বলতে এলে যারা ডেমোক্রেসিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বিএনপিকে জিজ্ঞেস করুন তাদের ঘরে ডেমোক্রেসি নেই কেন? সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন। কেন তারা সম্মেলন করেন না। কয় বছর আগে সম্মেলন করেছে।
তিনি বলেন, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, আর ৯০ আন্দোলন বলা যায়। সবস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ছিল ৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে। তারা তো কোন অভ্যত্থানের স্বপ্ন দেখেনি। এখনো তারা তাদের পাটির লোকজনের বাইরে সাধারণ কাউকে আনতে পারিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে গরীব মানুষের কষ্টে আছে, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা আমাদের সরকার প্রধান নিজে স্বীকার করে। বিশ্ব পরিস্থিতির জন্য শান্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের কোনো দোষ নেই।