ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নোংরা পানি ফেলে প্রতিবন্ধকতার ঘটনায় বাড়ছে ক্ষোভ

বাহুবল(হবিগঞ্জ)সংবাদদাতা:হবিগঞ্জের বাহুবলে আলীম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুত্র সন্তানদের ক্ষমতাবলে সরকারি রাস্তায় নোংরা পানি ফেলে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ উঠছে। এমনকি, সামাজিক বিচার বৈঠক কিংবা মাতব্বরদের কোন কথা কর্ণপাত না করায় স্থানীয়দের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ গ্রামবাসীর মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়,উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের সেলিম মিয়া বাড়ি হতে আনোয়ারুল উলুম কওমী মাদরাসা হয়ে কামাড়গাঁও মসজিদ সংলগ্ন সাতানিয়া পর্যন্ড একটি রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তায় আনোয়ারুল উলুম কওমী মাদরাসা,মাদরাসাতুল নুর মহিলা মাদরাসা সহ গ্রামবাসী একমাত্র রাস্তা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করছেন। এছাড়া কবরস্থান লাশ নিয়ে যাওয়ারও একমাত্র রাস্তা এটি। এরইমাঝে, গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর পুত্র আলীম উদ্দিন নামে ৫ সন্তানের ওই জনক নিজস্ব সুবিধার্থে ব্যকিগত ব্যবহৃত আবর্জন-নোংরা পানি সরকারি রাস্তার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। জমাট পানিতে রাস্তায় জনচলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা ও পবিত্রতা নষ্ট হতে চলেছে। এমনকি, নোংরা পানি ও দুর্গন্ধে নিকটস্থ সাঈদ মিয়া,রানু মিয়া,আঃ মন্নান,শাহজান সহ ৫টি পরিবারের লোকজন গৃহবাসী হওয়ার উপযুক্ত হয়ে পড়েছেন।

তাছাড়া শিক্ষক,শিক্ষার্থী সহ গ্রামবাসী চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাতও সৃষ্টি হতে চলেছে। সরজমিন পরিদর্শনকালে সাঈদ আহমেদ জানান, রাস্তায় ফেলানো নোংরা পানি ও দুর্গন্ধে তারা ৫টি পরিবার গৃহবাসী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার সভাপতি জানান, রাস্তায় চলাচলে খুব অসুবিদা ও পবিত্রতা নষ্ট হতে চলেছে। আলীম উদ্দিন কারও কোন আদেশ-উপদেশ মানছেনা। মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি মৃত্যু ব্যক্তির লাশ কাঁদে নিয়ে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে এগিয়ে না আসতে অনুরোধ জানান। অন্যতায়, এলাকায় যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ সহ খুন খারাবি হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম রানু জানান, সরকারি রাস্তায় জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কাজ না করাই উচিত। তবে তিনি রাস্তায় নোংরা পানি ফেলে জলাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার খবর পেয়েছেন। ওই গ্রামের নুর মিয়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আলীম উদ্দিনকে রাস্তায় আর কোনদিন পানি না ফেলতে হুশিয়ার করে দিলেছেন বলে দাবী করেছেন। এদিকে, আলীম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাস্তাটি গ্রামবাসীর চলাচলের কথা স্বীকার করে বলেন, পানি নিষ্কাশনের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় রাস্তায় টয়লেট সহ নোংরা আবর্জনা পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে। একাধিক সুত্র জানায়, ওই ব্যক্তির আধিপত্যের কারণে গ্রামে যেকোন সময় সংঘর্ষ ঘটতে পারে। এছাড়া ৪ শিশু হত্যা সহ একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও এলাকায় ঘটেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় ইস্যুতে বিজেপির লক্ষ্য হিন্দু ভোট? সংবাদ পরিবেশনে বিভক্ত ভারতের গণমাধ্যম

নোংরা পানি ফেলে প্রতিবন্ধকতার ঘটনায় বাড়ছে ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৯:৪৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

বাহুবল(হবিগঞ্জ)সংবাদদাতা:হবিগঞ্জের বাহুবলে আলীম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুত্র সন্তানদের ক্ষমতাবলে সরকারি রাস্তায় নোংরা পানি ফেলে জনচলাচলে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ উঠছে। এমনকি, সামাজিক বিচার বৈঠক কিংবা মাতব্বরদের কোন কথা কর্ণপাত না করায় স্থানীয়দের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ গ্রামবাসীর মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়,উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের সেলিম মিয়া বাড়ি হতে আনোয়ারুল উলুম কওমী মাদরাসা হয়ে কামাড়গাঁও মসজিদ সংলগ্ন সাতানিয়া পর্যন্ড একটি রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তায় আনোয়ারুল উলুম কওমী মাদরাসা,মাদরাসাতুল নুর মহিলা মাদরাসা সহ গ্রামবাসী একমাত্র রাস্তা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করছেন। এছাড়া কবরস্থান লাশ নিয়ে যাওয়ারও একমাত্র রাস্তা এটি। এরইমাঝে, গ্রামের মৃত রফিক উল্লাহর পুত্র আলীম উদ্দিন নামে ৫ সন্তানের ওই জনক নিজস্ব সুবিধার্থে ব্যকিগত ব্যবহৃত আবর্জন-নোংরা পানি সরকারি রাস্তার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। জমাট পানিতে রাস্তায় জনচলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা ও পবিত্রতা নষ্ট হতে চলেছে। এমনকি, নোংরা পানি ও দুর্গন্ধে নিকটস্থ সাঈদ মিয়া,রানু মিয়া,আঃ মন্নান,শাহজান সহ ৫টি পরিবারের লোকজন গৃহবাসী হওয়ার উপযুক্ত হয়ে পড়েছেন।

তাছাড়া শিক্ষক,শিক্ষার্থী সহ গ্রামবাসী চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাতও সৃষ্টি হতে চলেছে। সরজমিন পরিদর্শনকালে সাঈদ আহমেদ জানান, রাস্তায় ফেলানো নোংরা পানি ও দুর্গন্ধে তারা ৫টি পরিবার গৃহবাসী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার সভাপতি জানান, রাস্তায় চলাচলে খুব অসুবিদা ও পবিত্রতা নষ্ট হতে চলেছে। আলীম উদ্দিন কারও কোন আদেশ-উপদেশ মানছেনা। মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি মৃত্যু ব্যক্তির লাশ কাঁদে নিয়ে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে এগিয়ে না আসতে অনুরোধ জানান। অন্যতায়, এলাকায় যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ সহ খুন খারাবি হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলাম রানু জানান, সরকারি রাস্তায় জনচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কাজ না করাই উচিত। তবে তিনি রাস্তায় নোংরা পানি ফেলে জলাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার খবর পেয়েছেন। ওই গ্রামের নুর মিয়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আলীম উদ্দিনকে রাস্তায় আর কোনদিন পানি না ফেলতে হুশিয়ার করে দিলেছেন বলে দাবী করেছেন। এদিকে, আলীম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাস্তাটি গ্রামবাসীর চলাচলের কথা স্বীকার করে বলেন, পানি নিষ্কাশনের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় রাস্তায় টয়লেট সহ নোংরা আবর্জনা পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে। একাধিক সুত্র জানায়, ওই ব্যক্তির আধিপত্যের কারণে গ্রামে যেকোন সময় সংঘর্ষ ঘটতে পারে। এছাড়া ৪ শিশু হত্যা সহ একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও এলাকায় ঘটেছে।