ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

তীব্র শীতে ও হাজারো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। হাঁড় কাপানো তীব্র শীতের মাঝেও সাগরজলে উষ্ণতা খুঁজছেন লাখো ভ্রমণপিপাসু। তবে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়িয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা।তীব্র শীত, সূর্যের দেখা নেই। চারদিকে কুয়াশা। কুয়াশার কারণে দেখা যাচ্ছে না সাগরের নীল জলরাশি। বেলা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।

তবে সাগরপাড়ে বেড়েছে মানুষের ভিড়। সাগরতীর জুড়ে মানুষ আর মানুষ। যারা উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনাজলে। মেতেছেন সমুদ্রস্নান ও সেলফিতে। শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টা ১৫ মিনিট, কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দেয় সূর্য। সূর্য দেখা মিলতেই বাড়তি আনন্দ মেতে উঠেন পর্যটকরা। বেলা আরো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বালিয়াড়ির চেয়েও বেশি মানুষের ভিড় পড়ে যায় সাগরজলে। সাতক্ষীরা থেকে আসা পর্যটক হামিদুর রহমান বলেন, বালিয়াড়ি দাঁড়িয়ে যখন সাগর দেখছিলাম তখন গায়ে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নামলাম তখন দেখি সাগরের জন অনেক গরম। আর নোনাজল ছেড়ে যেতে মন চাইছে না।

নোনাজলে বেশ মজাতেই আছি।মিরপুর থেকে আসা আসিফ কামাল বলেন, সমুদ্রের নোনাজল ছেড়ে বালিয়াড়িতে উঠতে গায়ে প্রচন্ড শীত লাগছে। তাই আবারো নোনাজলে নেমে যায়। অনেকক্ষণ ধরে নোনাজলে আছি। তীব্র শীতের কারণে অনেক পর্যটক নোনাজল ছেড়ে উঠছেন না। বেশিরভাগ পর্যটকই সমুদ্রস্নান, নোনাজলে লাফালাফি, ওয়াটার বাইকে সমুদ্র ভ্রমণ, টিউব নিয়ে গা ভাসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এসব পর্যটকদের সমুদ্রস্নান নিরাপদ করতে নজরদারি বাড়ায় লাইফ গার্ড কর্মীরা।সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মো জহিরুল ইসলাম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি দিনে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে শুরু লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের সাগরতীর জুড়ে লাখো মানুষ।

যারা সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন। তাই এসব মানুষের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বালিয়াড়িতে টহল, ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ ও বোট নিয়ে সাগর জলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে পর্যটকরা নিরাপদে সমুদ্রস্নান করছেন। এদিকে পর্যটকদের হয়রানি রোধে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটক স্পটগুলোতে সার্বক্ষনিক টহলে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। আর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে।জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, সৈকতসহ আশপাশের হোটেল মোটেল জোনে বিপুল সংখ্য পর্যটক রয়েছে। এসব পর্যটক হোটেল, রেস্তোরা ও যানবাহনে কোন ধরণের হয়রানিতে যাতে না পড়ে তার জন্য সার্বক্ষনিক অভিযান চলছে। পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ ঘুরছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি,পাতুয়ারটেক, পাথুরে সৈকত ইনানী, রামুর বৌদ্ধ বিহার ও মহেশখালীতে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

তীব্র শীতে ও হাজারো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার

আপডেট সময় ০৩:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকত শহর কক্সবাজারে। হাঁড় কাপানো তীব্র শীতের মাঝেও সাগরজলে উষ্ণতা খুঁজছেন লাখো ভ্রমণপিপাসু। তবে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়িয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা।তীব্র শীত, সূর্যের দেখা নেই। চারদিকে কুয়াশা। কুয়াশার কারণে দেখা যাচ্ছে না সাগরের নীল জলরাশি। বেলা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।

তবে সাগরপাড়ে বেড়েছে মানুষের ভিড়। সাগরতীর জুড়ে মানুষ আর মানুষ। যারা উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনাজলে। মেতেছেন সমুদ্রস্নান ও সেলফিতে। শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টা ১৫ মিনিট, কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দেয় সূর্য। সূর্য দেখা মিলতেই বাড়তি আনন্দ মেতে উঠেন পর্যটকরা। বেলা আরো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বালিয়াড়ির চেয়েও বেশি মানুষের ভিড় পড়ে যায় সাগরজলে। সাতক্ষীরা থেকে আসা পর্যটক হামিদুর রহমান বলেন, বালিয়াড়ি দাঁড়িয়ে যখন সাগর দেখছিলাম তখন গায়ে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নামলাম তখন দেখি সাগরের জন অনেক গরম। আর নোনাজল ছেড়ে যেতে মন চাইছে না।

নোনাজলে বেশ মজাতেই আছি।মিরপুর থেকে আসা আসিফ কামাল বলেন, সমুদ্রের নোনাজল ছেড়ে বালিয়াড়িতে উঠতে গায়ে প্রচন্ড শীত লাগছে। তাই আবারো নোনাজলে নেমে যায়। অনেকক্ষণ ধরে নোনাজলে আছি। তীব্র শীতের কারণে অনেক পর্যটক নোনাজল ছেড়ে উঠছেন না। বেশিরভাগ পর্যটকই সমুদ্রস্নান, নোনাজলে লাফালাফি, ওয়াটার বাইকে সমুদ্র ভ্রমণ, টিউব নিয়ে গা ভাসাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এসব পর্যটকদের সমুদ্রস্নান নিরাপদ করতে নজরদারি বাড়ায় লাইফ গার্ড কর্মীরা।সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মো জহিরুল ইসলাম বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি দিনে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে শুরু লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের সাগরতীর জুড়ে লাখো মানুষ।

যারা সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন। তাই এসব মানুষের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বালিয়াড়িতে টহল, ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ ও বোট নিয়ে সাগর জলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে পর্যটকরা নিরাপদে সমুদ্রস্নান করছেন। এদিকে পর্যটকদের হয়রানি রোধে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটক স্পটগুলোতে সার্বক্ষনিক টহলে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। আর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হচ্ছে।জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, সৈকতসহ আশপাশের হোটেল মোটেল জোনে বিপুল সংখ্য পর্যটক রয়েছে। এসব পর্যটক হোটেল, রেস্তোরা ও যানবাহনে কোন ধরণের হয়রানিতে যাতে না পড়ে তার জন্য সার্বক্ষনিক অভিযান চলছে। পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণও করা হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ ঘুরছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, হিমছড়ি,পাতুয়ারটেক, পাথুরে সৈকত ইনানী, রামুর বৌদ্ধ বিহার ও মহেশখালীতে।