ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

বগুড়ায় ডিজিটাল কপাল! প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ হয়েছেন একই শিক্ষার্থী

ডিজিটাল কপাল! যদি শর্মিলা আক্তার এর পিতা মাতার কপালের সাথে একবার কপাল ঘুষে আসতে পারতাম! আজ ১২ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত লটারীর টানানো রেজাল্ট দেখে জনৈক এক অভিভাবক কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলছিলেন। টানানো রেজাল্ট দেখে ওই অভিভাবক বিলাপ করতে করতে বলছিলেন, মোঃ শর্মিলা আক্তার এর কপাল এতোই ভালো যে এবারের প্রকাশিত লটারীর ফলাফলে তিনি প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্থান লাভ করেছেন।

ওই শর্মিলার জন্ম নিবন্ধনে পিতার নাম লিখা হয়েছে মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মাতার নাম লিখা রয়েছে মোছাঃ নাছিমা আক্তার। তিনি আরো বলছিলেন, তাঁর পরিচিতি বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেছিলেন, একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ১৫/২০টি আবেদন করেছেন। তিনি তাঁদের কথা ওই সময় বিশ্বাস করেননি। কারণ তাঁর বিশ্বাস ডিজিটাল যুগে যেভাবে যাচাই বাছাই করে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে তাতে একজন শিক্ষার্থীর নামে একের অধিক আবেদন করা কখনই সম্ভব নয়।

কিন্তু আজকের প্রকাশিত লটারীর ফলাফল দেখে তাঁর ডিজিটাল বিশ্বাসে অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। একই কথা আমাকে বলেছিলেন আরেকজন অভিভাবক। আমিও তাঁর কথা ডিনাই করে বলেছিলাম, একজন শিক্ষার্থীর নামে একাধিক আবেদন করা কখনই সম্ভব নয়। আজকের এমন ফলাফল আমাকে বিস্মিত করে তুলেছে। হাউ ইজ ইট পছিবল? লটারীর দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা যাচাই বাছাই না করেই কি লটারী অনুষ্ঠান করেছেন? এখন মনে হচ্ছে ওই অভিভাবক ঠিকই বলেছিলেন। আমি তাঁকে বাঁধা না দিলে হয়তো তিনিও তাঁদের সহযোগীতায় একাধিক আবেদন করতে পারতেন এবং হয়তোবা তার সন্তানও একইভাবে লটারীতে বিজয়ী হয়ে ভর্তি হতে পারতেন সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিগণ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেন তাহলে জনসাধারণ বুঝবে, এসব তাঁদের ইচ্ছাই হয়েছে। বগুড়ার বহু শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অবিলম্বে ভুয়া লটারী সিস্টেম ও ফলাফল বাতিল করে পূর্বের মতো পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি করানোর জন্য সরকার বাহাদুরের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তাছাড়া চোর বাটপারদের অতি বুদ্ধিমত্তার সাথে সরকারের শিক্ষিত আমলারা কোনভাবেই পেরে উঠবেন না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

বগুড়ায় ডিজিটাল কপাল! প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ হয়েছেন একই শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ১১:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

ডিজিটাল কপাল! যদি শর্মিলা আক্তার এর পিতা মাতার কপালের সাথে একবার কপাল ঘুষে আসতে পারতাম! আজ ১২ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত লটারীর টানানো রেজাল্ট দেখে জনৈক এক অভিভাবক কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলছিলেন। টানানো রেজাল্ট দেখে ওই অভিভাবক বিলাপ করতে করতে বলছিলেন, মোঃ শর্মিলা আক্তার এর কপাল এতোই ভালো যে এবারের প্রকাশিত লটারীর ফলাফলে তিনি প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ স্থান লাভ করেছেন।

ওই শর্মিলার জন্ম নিবন্ধনে পিতার নাম লিখা হয়েছে মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মাতার নাম লিখা রয়েছে মোছাঃ নাছিমা আক্তার। তিনি আরো বলছিলেন, তাঁর পরিচিতি বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেছিলেন, একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ১৫/২০টি আবেদন করেছেন। তিনি তাঁদের কথা ওই সময় বিশ্বাস করেননি। কারণ তাঁর বিশ্বাস ডিজিটাল যুগে যেভাবে যাচাই বাছাই করে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে তাতে একজন শিক্ষার্থীর নামে একের অধিক আবেদন করা কখনই সম্ভব নয়।

কিন্তু আজকের প্রকাশিত লটারীর ফলাফল দেখে তাঁর ডিজিটাল বিশ্বাসে অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। একই কথা আমাকে বলেছিলেন আরেকজন অভিভাবক। আমিও তাঁর কথা ডিনাই করে বলেছিলাম, একজন শিক্ষার্থীর নামে একাধিক আবেদন করা কখনই সম্ভব নয়। আজকের এমন ফলাফল আমাকে বিস্মিত করে তুলেছে। হাউ ইজ ইট পছিবল? লটারীর দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা যাচাই বাছাই না করেই কি লটারী অনুষ্ঠান করেছেন? এখন মনে হচ্ছে ওই অভিভাবক ঠিকই বলেছিলেন। আমি তাঁকে বাঁধা না দিলে হয়তো তিনিও তাঁদের সহযোগীতায় একাধিক আবেদন করতে পারতেন এবং হয়তোবা তার সন্তানও একইভাবে লটারীতে বিজয়ী হয়ে ভর্তি হতে পারতেন সরকারী মাধ্যমিক স্কুলে।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিগণ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেন তাহলে জনসাধারণ বুঝবে, এসব তাঁদের ইচ্ছাই হয়েছে। বগুড়ার বহু শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অবিলম্বে ভুয়া লটারী সিস্টেম ও ফলাফল বাতিল করে পূর্বের মতো পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি করানোর জন্য সরকার বাহাদুরের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন। তাছাড়া চোর বাটপারদের অতি বুদ্ধিমত্তার সাথে সরকারের শিক্ষিত আমলারা কোনভাবেই পেরে উঠবেন না।