ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

মৌলভীবাজার হানাদার মুক্তদিবস আজ

৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়। ২ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজারের পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের উপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ শুরু হয়।

তীব্র আক্রমণের মুখে পাক সেনারা শমশেরনগরে টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে। মৌলভীবাজারে ছিল পাক সেনাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশ্যে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান নেয়।

সেখানে বড়টিলা নামক জায়গায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১২৭ জন সেনা নিহত হন। ৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে তারা ব্যর্থ হতে থাকে। এ অঞ্চলের পরাজিত পাকিস্থানি সৈন্যরা তখন সিলেট অভিমুখে পালাতে শুরু করে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হন। সিলেটে যাওয়ার পথে তারা শেরপুরে অবস্থান নেয়।

পরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। এই ঘাতক বাহিনীর পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর পুরো মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত হয় এবং আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৪৭০ জন। এরমধ্যে সংগঠক ছিলেন দুইশ’র বেশি। দিবসটি পালন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

মৌলভীবাজার হানাদার মুক্তদিবস আজ

আপডেট সময় ০৪:৫২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চায়ের রাজধানীখ্যাত মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়। ২ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজারের পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের উপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ শুরু হয়।

তীব্র আক্রমণের মুখে পাক সেনারা শমশেরনগরে টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে। মৌলভীবাজারে ছিল পাক সেনাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশ্যে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান নেয়।

সেখানে বড়টিলা নামক জায়গায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১২৭ জন সেনা নিহত হন। ৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে তারা ব্যর্থ হতে থাকে। এ অঞ্চলের পরাজিত পাকিস্থানি সৈন্যরা তখন সিলেট অভিমুখে পালাতে শুরু করে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হন। সিলেটে যাওয়ার পথে তারা শেরপুরে অবস্থান নেয়।

পরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। এই ঘাতক বাহিনীর পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর পুরো মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত হয় এবং আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৪৭০ জন। এরমধ্যে সংগঠক ছিলেন দুইশ’র বেশি। দিবসটি পালন উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।