) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলায় উচ্চ আদালতে আগাম জামিনে থাকা এজাহার ভুক্ত ছয় আসামি আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুর চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে দুই জনের জামিন মঞ্জুর করে চার আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত ।
জামিন না হওয়া আসামিরা হচ্ছেন সগির মিয়া (৪০), খাইরুল ইসলাম মুছা শরীফ (৬০), বশীর পঞ্চাইত (৩৫) ও হুমায়ূন (৩০) মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইতিপূর্বে শফিকুল ইসলাম এর বহনকারী মটর সাইকেল চালক বাবু কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবু এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তদন্তে তাঁর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এছাড়া ও এ মামলার মূল আসামি ইয়াসিনকে ঢাকা লালবাগ থানাধীন বেড়িবাধ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াছিন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। সে তুষখালী গ্রামের মো. হাফেজ খানের ছেলে।
উল্লেখ্য শফিকুলের উপর হামলার দিন গত ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরেই শফিকুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পণাকারী মূল হোতা তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের ভাই তুষখালী বাজারের মুদি দোকানী নাসির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির হোসেন ও বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। আহত শফিকুল ইসলাম তুষখালী গ্রামের আইয়ূব আলী শিকদারের ছেলে। শফিকুল ইসলাম এখনো ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।