ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কক্সবাজারে র‌্যাবের অভিযানে গণপরিবহন ভিত্তিক চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধানসহ ০৫ জন গ্রেফতার

কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন ঝিলংজা ইউপিস্থ লিংকরোড এলাকা থেকে পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজ চক্রের ৫ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব- ১৫। গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং রাত অনুমান ১০.১৫ ঘটিকায় তাদেরকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত ১০,২০০ (দশ হাজার দুইশত টাকা) সহ চাঁদাবাজিকালে হাতেনাতে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন যথাক্রমে ক) তাহের আহমেদ সিকদার (৫০), পিতা- মৃত আফতাব উদ্দিন সিকব্দাবর, সাং- দক্ষিণ মুহুরীপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা ইউপি, লিংরোড, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার। খ) গিয়াস উদ্দিন (৩৫), পিতা- মৃত ইসলাম, সাং- হোয়াইক্যং, বিজিবি চেক পোষ্ট, ০২নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউপি, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, গ) সুজন বড়ুয়া (৪২), পিতা- নিরঞ্জন বড়ুয়া, সাং- ফতেকারকুল, ০৫নং ওয়ার্ড, হাই টুপিগ্রাম, থানা- রামু, জেলা- কক্সবাজার, ঘ) ওয়াবায়দুল করিম (৪০), পিতা- আবুবক্কর, সাং- মুহুরীপাড়া বেসিক এলাকা, ০৪নং ওয়ার্ড, পোষ্টঃ লিংরোড, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার,
ঙ) শাহ জাহান (৪৮), পিতামৃত গোলাম কাদের, সাং- চরবড়মা, ০৯নং ওয়ার্ড, বড়মা ইউপি, থানা- চন্দনাইশ, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- সাবলং ০৭নং ওয়ার্ড, মৌলভীপাড়া, হলুদিয়া ইউপি, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।

আটককৃত আসামীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে আগত যানবাহনের চালক/শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০০/২০০/৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০/১২০০ পর্যন্ত যার কাছ থেকে যা সম্ভব টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এছাড়াও তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা প্রদান না করলে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করতেন। এভাবে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা জেলা পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলেছিলেন।

কক্সবাজার শ্যামলী পরিবহনের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আটককৃত আসামীদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁদাবাজ চক্রটির প্রধান আটককৃত তাহের আহমেদ সিকদার পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘসময় কারাগারে ছিলেন তিনি। মূলত কারাগার থেকে বেরিয়েই তিনি চাঁদাবাজ চক্রটি গড়ে তোলেন। এছাড়াও তিনি বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন থানায় ০৬টি মামলার এজাহার নামীয় আসামী।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক, পিএসসি বলেন অপরাধীচক্র যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইনবিরুদ্ধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের এমন অভিযান চলমান থাকবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শার্শায় বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদের কবরে বিজিবির গার্ড অফ অনার ও দোয়ার অনুষ্ঠান

কক্সবাজারে র‌্যাবের অভিযানে গণপরিবহন ভিত্তিক চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধানসহ ০৫ জন গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৩:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন ঝিলংজা ইউপিস্থ লিংকরোড এলাকা থেকে পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজ চক্রের ৫ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব- ১৫। গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং রাত অনুমান ১০.১৫ ঘটিকায় তাদেরকে চাঁদা আদায়ের রসিদ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে সংগ্রহকৃত ১০,২০০ (দশ হাজার দুইশত টাকা) সহ চাঁদাবাজিকালে হাতেনাতে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন যথাক্রমে ক) তাহের আহমেদ সিকদার (৫০), পিতা- মৃত আফতাব উদ্দিন সিকব্দাবর, সাং- দক্ষিণ মুহুরীপাড়া, ০৪ নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা ইউপি, লিংরোড, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার। খ) গিয়াস উদ্দিন (৩৫), পিতা- মৃত ইসলাম, সাং- হোয়াইক্যং, বিজিবি চেক পোষ্ট, ০২নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউপি, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, গ) সুজন বড়ুয়া (৪২), পিতা- নিরঞ্জন বড়ুয়া, সাং- ফতেকারকুল, ০৫নং ওয়ার্ড, হাই টুপিগ্রাম, থানা- রামু, জেলা- কক্সবাজার, ঘ) ওয়াবায়দুল করিম (৪০), পিতা- আবুবক্কর, সাং- মুহুরীপাড়া বেসিক এলাকা, ০৪নং ওয়ার্ড, পোষ্টঃ লিংরোড, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার,
ঙ) শাহ জাহান (৪৮), পিতামৃত গোলাম কাদের, সাং- চরবড়মা, ০৯নং ওয়ার্ড, বড়মা ইউপি, থানা- চন্দনাইশ, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- সাবলং ০৭নং ওয়ার্ড, মৌলভীপাড়া, হলুদিয়া ইউপি, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।

আটককৃত আসামীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে আগত যানবাহনের চালক/শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০০/২০০/৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০/১২০০ পর্যন্ত যার কাছ থেকে যা সম্ভব টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এছাড়াও তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা প্রদান না করলে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করতেন। এভাবে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা জেলা পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলেছিলেন।

কক্সবাজার শ্যামলী পরিবহনের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) খোরশেদ আলম শামীম বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আটককৃত আসামীদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁদাবাজ চক্রটির প্রধান আটককৃত তাহের আহমেদ সিকদার পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘসময় কারাগারে ছিলেন তিনি। মূলত কারাগার থেকে বেরিয়েই তিনি চাঁদাবাজ চক্রটি গড়ে তোলেন। এছাড়াও তিনি বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন থানায় ০৬টি মামলার এজাহার নামীয় আসামী।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক, পিএসসি বলেন অপরাধীচক্র যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আইনবিরুদ্ধ কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের এমন অভিযান চলমান থাকবে।