ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের (কুমেক) হোস্টেলে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় মিনহাজ উল করীম ভূইয়া নামে ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ২৪তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন তিনি।তার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার কক্ষে পড়ার টেবিলের একটি চিরকুট পাওয়া যায়, সেখানে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। নিহত চিকিৎসকের বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিলো। কিন্তু যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে উপস্হিত না হলে একাধিকবার তাকে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করছিলেন  না।

একপর্যায়ে রাত ৯টা পার হয়ে গেলেও তিনি হাসপাতালে না আসায় ২৫ ব্যাচের মোদাচ্ছের নামে এক ইন্টার্নিকে তার হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান মোদাচ্ছির। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। এসময় তিনি পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দ্রুত দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু এর অনেক আগেই তিনি মারা যান। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, যে কক্ষে মিনহাজের মরদেহ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ তার মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাফলংয়ে ভারতীয় মদসহ আটক ১

অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের (কুমেক) হোস্টেলে অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় মিনহাজ উল করীম ভূইয়া নামে ইন্টার্ন চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ২৪তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন তিনি।তার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার কক্ষে পড়ার টেবিলের একটি চিরকুট পাওয়া যায়, সেখানে লেখা আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। নিহত চিকিৎসকের বুধবার রাতে সার্জারি-১ বিভাগে তার নাইট ডিউটি ছিলো। কিন্তু যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে উপস্হিত না হলে একাধিকবার তাকে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করছিলেন  না।

একপর্যায়ে রাত ৯টা পার হয়ে গেলেও তিনি হাসপাতালে না আসায় ২৫ ব্যাচের মোদাচ্ছের নামে এক ইন্টার্নিকে তার হোস্টেলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান মোদাচ্ছির। দরজা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। এসময় তিনি পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন। তারা জানালা দিয়ে দেখেন, অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিনহাজ ঝুলে আছেন। দ্রুত দরজা ভেঙে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু এর অনেক আগেই তিনি মারা যান। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, যে কক্ষে মিনহাজের মরদেহ পাওয়া যায়, সেখানে তিনি একাই থাকতেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ তার মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।