ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরায় বিডিআর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ আটক-২ ডিরেক্টরস গিল্ডের স্বপথ অনুষ্ঠান শার্শায় বিজিবির তৎপরতায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ইয়াবা উদ্ধার কুমিল্লায় পুলিশের অভিযানে ০৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার একশো পরিবার পেল ‘স্বপ্নের নীড়’ সবুজের বুকে লাল আশ্রয়ন বুধবার দৃশ্যমান নওয়াগাঁও প্রকল্প উদ্বোধন মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর নবীন বরণ অনুষ্ঠিত সাপাহারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেল আরও ৯৬ টি ভূমিহীন পরিবার

রাজীব গান্ধীর ছয় ঘাতককে মুক্তি দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই আসামিদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। এর আগে, গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নলিনী ছাড়াও অন্য যে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন, নলিনী শ্রীহরন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রন। ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামি— নলিনী শ্রীহরন, রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এ জি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং তারা ২৩ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন।

শ্রীহরন এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।

১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।

১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় বিডিআর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ আটক-২

রাজীব গান্ধীর ছয় ঘাতককে মুক্তি দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট সময় ০৩:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই আসামিদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। এর আগে, গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নলিনী ছাড়াও অন্য যে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন, নলিনী শ্রীহরন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রন। ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।

মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামি— নলিনী শ্রীহরন, রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এ জি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং তারা ২৩ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন।

শ্রীহরন এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা।

১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন।

১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে।