ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লা দেবীদ্বারে বঙ্গবন্ধুর জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন পুলিশের বাধায় কুমিল্লায় বিএনপির পদযাত্রা পন্ড ঝিকরগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা স্বেচ্ছায় মাদক, চুরি ছিনতাই ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কমিটি গঠন ব্র্যাকের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা দিবস পালিত বঙ্গবন্ধুর ’জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতা উদ্বোধন আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি ঘোষণা আইপিএল ফাইনাল আজ একদিনে আরও ৬৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি

পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা

দোকান থেকে কিনে এনেছেন একটি পুরনো স্যুটকেস। কিন্তু বসায় ফিরে দেখলেন স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা

এ ঘটনা মার্কিন এক পিতার। ওই ব্যক্তি ব্যবহৃত স্যুটকেস কেনার পর বিদেশি নগদ মুদ্রা পেয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুনে অবাক হবেন অন্য কোনো দেশের নয়, বাংলাদেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অবস্থিত ‘ওভার স্টক এবং রিটার্ন স্টোর’ নামের দোকান থেকে তিনি কয়েকটি স্যুটকেস কিনেছিলেন।   এ ধরনের দোকান পুরনো জিনিস কেনাবেচা করে। দালালের মাধ্যমে পুরনো জিনিস কিনে আবার কম দামে বিক্রি করে তারা।

তিনি স্যুটকেসগুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে সবচেয়ে ছোট কমলা রঙের ব্যাগের আস্তরণের নিচে কিছু অনুভব করেন। আস্তরণ খুলে দেখেন বাংলাদেশি মুদ্রা। তিনি না জেনেই ধরে নেন এই টাকার পরিমাণ ২০,০০০ ডলার!

kalerkantho
ওই ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তখন আস্তরণটি খুললাম এবং একটি জিপলক ব্যাগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০,০০০ ডলার পেলাম। ’ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ  ‘ডেডিকেটেড টু আনইউজুয়াল ফাইন্ডস’-এ কথা লিখেছেন। তিনি ছবিও পোস্ট  করেছেন।  প্রথমে খুশি হলেও পরে হাতাশ হন তিনি। কারণ আসলে পেয়েছেন ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা।

টাকাটি যিনি পেয়েছেন তিনি একটি সেলুনের মালিক। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘বিনিময় হার কী হতে পারে তা না জেনে আমার খুব উত্তেজনা হয়েছিল। ’
কিন্তু বিনিময় হার জানতে পেরে বুঝতে পারেন, না তার চাকরি ছাড়লে চলবে না বা সেলুনটাও বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ দেখতে প্রচুর টাকা মনে হলেও আসলে এখানে ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা আছে।

এরপর তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা মিলিয়ন ডলার মূল্যের। ’ লাখ টাকা না পেলেও নতুন স্যুটকেসগুলো নিজেদের মূল্য নিজেরা পরিশোধ করেছে। এটাই তার সান্ত্বনা।

ভাগ্যবান এই ক্রেতা ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত করার সময় মন্তব্য করেছেন, এই রকম ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে তিনি অবাক হয়েছিলেন প্রথমে। এরপর তিনি ধারণা করেন, কেউ হয়তো স্যুটকেসটি কিনে ব্যবহার করেছিলেন। কিছু টাকা ভেতরে রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। এরপর ওই অবস্থায়ই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাগে কী কী জিনিস রাখছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা দেবীদ্বারে বঙ্গবন্ধুর জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

পুরনো ব্যাগ কিনে লুকানো বাংলাদেশি টাকা পেয়ে গেলেন মার্কিন বাবা

আপডেট সময় ০৬:২৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

দোকান থেকে কিনে এনেছেন একটি পুরনো স্যুটকেস। কিন্তু বসায় ফিরে দেখলেন স্যুটকেসে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা

এ ঘটনা মার্কিন এক পিতার। ওই ব্যক্তি ব্যবহৃত স্যুটকেস কেনার পর বিদেশি নগদ মুদ্রা পেয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুনে অবাক হবেন অন্য কোনো দেশের নয়, বাংলাদেশি টাকা পেয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে অবস্থিত ‘ওভার স্টক এবং রিটার্ন স্টোর’ নামের দোকান থেকে তিনি কয়েকটি স্যুটকেস কিনেছিলেন।   এ ধরনের দোকান পুরনো জিনিস কেনাবেচা করে। দালালের মাধ্যমে পুরনো জিনিস কিনে আবার কম দামে বিক্রি করে তারা।

তিনি স্যুটকেসগুলো কিনে বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে সবচেয়ে ছোট কমলা রঙের ব্যাগের আস্তরণের নিচে কিছু অনুভব করেন। আস্তরণ খুলে দেখেন বাংলাদেশি মুদ্রা। তিনি না জেনেই ধরে নেন এই টাকার পরিমাণ ২০,০০০ ডলার!

kalerkantho
ওই ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি তখন আস্তরণটি খুললাম এবং একটি জিপলক ব্যাগে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০,০০০ ডলার পেলাম। ’ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ  ‘ডেডিকেটেড টু আনইউজুয়াল ফাইন্ডস’-এ কথা লিখেছেন। তিনি ছবিও পোস্ট  করেছেন।  প্রথমে খুশি হলেও পরে হাতাশ হন তিনি। কারণ আসলে পেয়েছেন ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা।

টাকাটি যিনি পেয়েছেন তিনি একটি সেলুনের মালিক। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি লিখেছেন, ‘বিনিময় হার কী হতে পারে তা না জেনে আমার খুব উত্তেজনা হয়েছিল। ’
কিন্তু বিনিময় হার জানতে পেরে বুঝতে পারেন, না তার চাকরি ছাড়লে চলবে না বা সেলুনটাও বিক্রি করতে পারবেন না। কারণ দেখতে প্রচুর টাকা মনে হলেও আসলে এখানে ২০০ ডলারের চেয়েও কম টাকা আছে।

এরপর তিনি মজা করে লিখেছেন, ‘কিন্তু যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা মিলিয়ন ডলার মূল্যের। ’ লাখ টাকা না পেলেও নতুন স্যুটকেসগুলো নিজেদের মূল্য নিজেরা পরিশোধ করেছে। এটাই তার সান্ত্বনা।

ভাগ্যবান এই ক্রেতা ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত করার সময় মন্তব্য করেছেন, এই রকম ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে তা ভেবে তিনি অবাক হয়েছিলেন প্রথমে। এরপর তিনি ধারণা করেন, কেউ হয়তো স্যুটকেসটি কিনে ব্যবহার করেছিলেন। কিছু টাকা ভেতরে রেখে ভুলে গিয়েছিলেন। এরপর ওই অবস্থায়ই বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এ ঘটনা শুনে অনেকে বলেছেন, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ব্যাগে কী কী জিনিস রাখছেন।