ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টা করলেই ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ব্যত্যয় ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টা করে, তাহলে সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যাঁরা আগে এসেছেন, তাঁরা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের এতো ভিড় যে বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করব, সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।’

শুরু হলো এইচএসসি পরীক্ষা

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সবার প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে তিনি আশা করেন।

২০২৩ সালের পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এ বছর আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। আগামী বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। আর আগামীতে যদি কোনোও অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব। যত দ্রুত সম্ভব ওই বোর্ডের পরীক্ষাও নেব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টা করলেই ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ব্যত্যয় ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টা করে, তাহলে সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যাঁরা আগে এসেছেন, তাঁরা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের এতো ভিড় যে বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করব, সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।’

শুরু হলো এইচএসসি পরীক্ষা

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সবার প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে তিনি আশা করেন।

২০২৩ সালের পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এ বছর আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। আগামী বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। আর আগামীতে যদি কোনোও অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব। যত দ্রুত সম্ভব ওই বোর্ডের পরীক্ষাও নেব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।