ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরায় বিডিআর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ আটক-২ ডিরেক্টরস গিল্ডের স্বপথ অনুষ্ঠান শার্শায় বিজিবির তৎপরতায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ইয়াবা উদ্ধার কুমিল্লায় পুলিশের অভিযানে ০৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার প্রয়াত সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের পরিবারকে সহায়তার চেক প্রদান ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ ডাকাত গ্রেফতার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার একশো পরিবার পেল ‘স্বপ্নের নীড়’ সবুজের বুকে লাল আশ্রয়ন বুধবার দৃশ্যমান নওয়াগাঁও প্রকল্প উদ্বোধন মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও ষষ্ঠ শ্রেণীর নবীন বরণ অনুষ্ঠিত সাপাহারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেল আরও ৯৬ টি ভূমিহীন পরিবার

পায়রার তীরে জমে উঠেছে তাজা ইলিশের বাজার

বরগুনার পায়রা নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাড়ে বসেই। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের চাহিদা বাড়ায় ঘাটেই ইলিশ বিক্রি করছে জেলেরা। তাজা ও দাম নাগালে থাকায় আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিকেল থেকেই এখানেই ভিড় জমে ক্রেতাদের।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা সদরের পায়রা নদী সংলগ্ন পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায়। ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে বসে ইলিশ বিক্রি করছে বিক্রেতারা। স্থানীয় জেলেরা জানায়, জোয়ারের সময় পায়রা নদীতে জাল ফেলে তারা। সন্ধ্যায় জাল তুলে ইলিশগুলো আলাদা করে। এরপর ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে ফেরি টার্মিনালের পাশে বসেই রাত পর্যন্ত চলে ইলিশ বিক্রি।

বিভিন্ন জায়গায় থেকে বাসে করে আসা যাত্রীরা এবং স্থানীয় অনেকেই মাছ কেনার জন্য ভিড় করে এখানে। বিক্রেতারা বলেন, ইলিশ বাজার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পরিবহন খরচ গুনতে হয়। এ কারণে বাড়তি খরচ এড়াতে পাড়ে বিক্রি করে দেন নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ।

তাই তারা ঘাটেই ভালো দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ইলিশ বিক্রি করেন। ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আমতলীর একটি স্কুলে চাকরি করি। রোজ এখান থেকে যাতায়াত করি। রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কেজি কিনলাম। মাঝারি সাইজের ইলিশগুলো একদম তাজা। এনায়েত হোসেন নামে আরেকজন বলেন, কাল আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান আছে।

তাই মাছ নেওয়ার জন্য বিকেল থেকে এখানে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ আগে জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরেছে। মাছগুলো একদম তাজা। ১২ কেজি মাছ কিনলাম। বিক্রেতা দেলোয়ার মুন্সী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, নদীতে তেমন মাছ নেই। যে পরিমাণে পাই তা নিয়ে বাজার পর্যন্ত গেলে পোষায় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি এখানে বসেই বিক্রি করি।

এক কেজি ওজনের মাছ ১৩০০ টাকা কেজি। মাঝারি সাইজের টা ৬০০ টাকা। এবং ছোটগুলো ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে পায়রা নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেশি মাছের দেখা মিলবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আমদের মাতৃভূমিকে বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। এখানে কয়েক হাজার জেলে মাছ ধরছে। জেলেরা আগের থেকে অনেক সচেতন। কয়েক দিন হল ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় বিডিআর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ আটক-২

পায়রার তীরে জমে উঠেছে তাজা ইলিশের বাজার

আপডেট সময় ০৯:২৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

বরগুনার পায়রা নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাড়ে বসেই। নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের চাহিদা বাড়ায় ঘাটেই ইলিশ বিক্রি করছে জেলেরা। তাজা ও দাম নাগালে থাকায় আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। তাই বিকেল থেকেই এখানেই ভিড় জমে ক্রেতাদের।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা সদরের পায়রা নদী সংলগ্ন পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায়। ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে বসে ইলিশ বিক্রি করছে বিক্রেতারা। স্থানীয় জেলেরা জানায়, জোয়ারের সময় পায়রা নদীতে জাল ফেলে তারা। সন্ধ্যায় জাল তুলে ইলিশগুলো আলাদা করে। এরপর ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে ফেরি টার্মিনালের পাশে বসেই রাত পর্যন্ত চলে ইলিশ বিক্রি।

বিভিন্ন জায়গায় থেকে বাসে করে আসা যাত্রীরা এবং স্থানীয় অনেকেই মাছ কেনার জন্য ভিড় করে এখানে। বিক্রেতারা বলেন, ইলিশ বাজার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পরিবহন খরচ গুনতে হয়। এ কারণে বাড়তি খরচ এড়াতে পাড়ে বিক্রি করে দেন নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ।

তাই তারা ঘাটেই ভালো দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ইলিশ বিক্রি করেন। ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আমতলীর একটি স্কুলে চাকরি করি। রোজ এখান থেকে যাতায়াত করি। রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কেজি কিনলাম। মাঝারি সাইজের ইলিশগুলো একদম তাজা। এনায়েত হোসেন নামে আরেকজন বলেন, কাল আমাদের বাসায় অনুষ্ঠান আছে।

তাই মাছ নেওয়ার জন্য বিকেল থেকে এখানে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ আগে জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরেছে। মাছগুলো একদম তাজা। ১২ কেজি মাছ কিনলাম। বিক্রেতা দেলোয়ার মুন্সী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, নদীতে তেমন মাছ নেই। যে পরিমাণে পাই তা নিয়ে বাজার পর্যন্ত গেলে পোষায় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি এখানে বসেই বিক্রি করি।

এক কেজি ওজনের মাছ ১৩০০ টাকা কেজি। মাঝারি সাইজের টা ৬০০ টাকা। এবং ছোটগুলো ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে পায়রা নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বেশি মাছের দেখা মিলবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব আমদের মাতৃভূমিকে বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। এখানে কয়েক হাজার জেলে মাছ ধরছে। জেলেরা আগের থেকে অনেক সচেতন। কয়েক দিন হল ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছে।