ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আবারো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাসের চৌধুরী পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি কুমিল্লা হোমনায় ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা ছেলে নিহত দুমকীতে কৃষি যন্ত্রপাতি পরিচিতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার ২নং লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২৩-এ দোয়া প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর ৫ (মিঠাপুকুর)-এ জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাকির হোসেন সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিন : সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি মাটি-মানুষের সংগঠন আ’লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী নগরীতে রান্না করতে গিয়ে কারেন্টের চুলোর উপর পড়ে নারীর মৃত্যু

মজুত চিনি বাজারে ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

চিনির বাজার স্থিতিশীল করতে মিল মালিক, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও পাইকারদের কাছে মজুত চিনি বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। সংক‌টের কথা ব‌লে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চি‌নি। অ‌নেক এলাকায় প্যাকেটের চিনি উধাও হ‌য়ে গে‌ছে। ‌ত‌বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বল‌ছে চা‌হিদা অনুযায়ী দে‌শে পর্যাপ্ত চি‌নি আমদানি হ‌য়ে‌ছে, সংকট হওয়ার কো‌নো কারণ নেই।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে চাহিদার বড় একটি অংশ মেটানো হয় আমদানি করা চিনির মাধ্যমে। এই চিনি আমদানি হয় মূলত সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপের মাধ্যমে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আবারো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাসের চৌধুরী

মজুত চিনি বাজারে ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

আপডেট সময় ০৩:০২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

চিনির বাজার স্থিতিশীল করতে মিল মালিক, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও পাইকারদের কাছে মজুত চিনি বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ তথ্য জানান। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে দেশের চিনির বাজার। সংক‌টের কথা ব‌লে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চি‌নি। অ‌নেক এলাকায় প্যাকেটের চিনি উধাও হ‌য়ে গে‌ছে। ‌ত‌বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বল‌ছে চা‌হিদা অনুযায়ী দে‌শে পর্যাপ্ত চি‌নি আমদানি হ‌য়ে‌ছে, সংকট হওয়ার কো‌নো কারণ নেই।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংকটের কথা বলে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি অনেক এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন, জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা খেলায় মেতেছেন। তারা সরকারের কোনো নিয়ম-নীতি মানছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে চিনির উৎপাদন কমেছে। যে কারণে বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং এখন উল্টো দাম বাড়ছে।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে চাহিদার বড় একটি অংশ মেটানো হয় আমদানি করা চিনির মাধ্যমে। এই চিনি আমদানি হয় মূলত সিটি, মেঘনা, এস আলম, ইগলু ও দেশবন্ধু গ্রুপের মাধ্যমে।