ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আবারো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাসের চৌধুরী পটুয়াখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি কুমিল্লা হোমনায় ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ট্রেনের ধাক্কায় বাবা ছেলে নিহত দুমকীতে কৃষি যন্ত্রপাতি পরিচিতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার ২নং লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২৩-এ দোয়া প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর ৫ (মিঠাপুকুর)-এ জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাকির হোসেন সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিন : সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি মাটি-মানুষের সংগঠন আ’লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী নগরীতে রান্না করতে গিয়ে কারেন্টের চুলোর উপর পড়ে নারীর মৃত্যু

এক কেজি শিমের দামে ছয় কেজি পেঁপে

শীতের আবহাওয়া আসন্ন। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। তবে এবার বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও রয়েছে যথেষ্ট চড়া।

কিন্তু সব কিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে সহজে বলা চলে ১ কেজি শিমের দামে ৬ কেজি পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টার ওপরে কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবজির বাজার চড়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকায় অনেক পরিবার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রেতারা আশা করছে আসন্ন শীতের সময় হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুরুল হক বলেন, এক পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজির দাম আগের মতো কিছুটা বাড়তি। এছাড়া সব পণ্যের দামই এখন বাড়তি। এ অবস্থায় আমাদের সংসার চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, পেঁপের দাম গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। তবে বাজারে যশোরের পেঁপে চলে আসায় দাম কিছুটা কমে ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। কারণ যশোরের পেঁপের আকার একটু ছোট থাকে এবং দূর থেকে আসে বলে পেঁপের গায়ে দাগ হয়ে যায়। সেকারণে দাম তুলনামূলক কম। তবে আশুলিয়ার পেঁপের আকারও বড় এবং ঢাকার কাছে বলে ভালোভাবে বাজারে আসে তাই দামও বেশি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ার পেঁপে।

এদিকে সবজির বাজার দর নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা লিমন মিয়া বলেন, শীতের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। যখন বড় বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার চলে আসবে তখন থেকে অন্যান্য সবজির দামও কমতে থাকবে। তাই শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আবারো শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাসের চৌধুরী

এক কেজি শিমের দামে ছয় কেজি পেঁপে

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

শীতের আবহাওয়া আসন্ন। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। তবে এবার বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও রয়েছে যথেষ্ট চড়া।

কিন্তু সব কিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে সহজে বলা চলে ১ কেজি শিমের দামে ৬ কেজি পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টার ওপরে কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবজির বাজার চড়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকায় অনেক পরিবার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রেতারা আশা করছে আসন্ন শীতের সময় হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুরুল হক বলেন, এক পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজির দাম আগের মতো কিছুটা বাড়তি। এছাড়া সব পণ্যের দামই এখন বাড়তি। এ অবস্থায় আমাদের সংসার চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, পেঁপের দাম গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। তবে বাজারে যশোরের পেঁপে চলে আসায় দাম কিছুটা কমে ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। কারণ যশোরের পেঁপের আকার একটু ছোট থাকে এবং দূর থেকে আসে বলে পেঁপের গায়ে দাগ হয়ে যায়। সেকারণে দাম তুলনামূলক কম। তবে আশুলিয়ার পেঁপের আকারও বড় এবং ঢাকার কাছে বলে ভালোভাবে বাজারে আসে তাই দামও বেশি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ার পেঁপে।

এদিকে সবজির বাজার দর নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা লিমন মিয়া বলেন, শীতের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। যখন বড় বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার চলে আসবে তখন থেকে অন্যান্য সবজির দামও কমতে থাকবে। তাই শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।